ভরা গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর মিলল জল, চাঞ্চল্য মধ্য কামাখ্যাগুড়িতে
দেবাশীষ রায়, কামাখ্যাগুড়ি, ১৪ জুলাইঃ ভরা গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতরে পাওয়া গেল জল। আর ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য কামাখ্যাগুড়ির বামন পাড়া গ্রামে। সিলিন্ডারের ভেতর থেকে জল মেলার ঘটনা শুনে হতবাক এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা তারা আগে কোনোদিন শোনেননি। মধ্য কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা গৃহবধূ মাধবী রাভা বুধবার রাতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে ভাত রান্না করিছলেন। ভাত রান্না হয়ে গেছে কিনা, তা জানতে রান্নাঘরে এসে তিনি শুনতে পান, গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর থেকে ক্রমাগত শব্দ বের হচ্ছে। ভাতের হাঁড়ির ভেতর থেকে যেমন শব্দ বের হচ্ছে, সিলিন্ডার থেকেও ঠিক একই রকম শব্দ বের হচ্ছে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে মাধবীদেবী তাঁর স্বামী দীনেশ রায়কে ডাকেন। গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবুও সিলিন্ডারে ক্রমাগত শব্দ হয়েই যাচ্ছিল। একটি বিকট শব্দও হয়। তা কিছুটা বিস্ফোরণের মতোই। স্বামী-স্ত্রী দু’জনই রান্নাঘর থেকে বের হয়ে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর সিলিন্ডারের শব্দ বন্ধ হয়। পরে দেখা যায়, ওই গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতরে জল রয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘোড়ামারা চৌপথী সংলগ্ন গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্র থেকে ওই সিলিন্ডারটি সরবরাহ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা গ্যাস সিলিন্ডারটি পাল্টে অন্য আরেকটি সিলিন্ডার দিয়ে দেন। যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে তার দাম নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা কামাখ্যাগুড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হরমোহন রাভা বলেন, ‘১৪ কেজির সিলিন্ডারে ৪ কেজি গ্যাস ছিল। বাকি ১০ কেজি ছিল জল। অন্য কারো সাথে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বলা হয়েছে।’ কুমারগ্রাম ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। কেন এরকম হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ভাবে বড় ধরনেও দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। কেন এমনটা হল তা জানতে গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব।’