ভাষার নাম বিবাদের মতনে কি রাইজ্যের দাবিত নেতৃত্বের বিবাদত সমস্যার সমাধান ঝুলি থাকিবে?

ক্ষীরোদা রায়ঃ ভাষার নামকরণ সমস্যার মতনে কি রাইজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবির রাজনৈতিক সমাধান ঝুলি থাকিবে? প্রশ্নটা মনের ভিতর খিব ঘুরপাক খায়ছে। বিশেষ করি রাইজ্যের দাবি পূরণ আর দাবি পূরণের ঘাটার মইধ্যত কামতাপুরী রাজবংশী সংগঠণলা অ্যালাও অ্যাকটা নির্দিষ্ট জাগাত খাড়া হবার পারে নাই। ইয়ার আসল কারণ সম্ভবত নুক্কি আছে নেতৃত্বের মইধ্যত। রাইজ্য হইলে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা হইলে ঠিক কুন নেতার নেতৃত্বত কেন্দ্র সরকার আলোচনাত বসিবে, এই নেতা ঠিক করা নিয়ায় মূলত লড়াই চলেছে রাজবংশী কামতাপুরী সংগঠণলার মইধ্যত।

নিখিল রায় যেমন স্টেট ডিম্যান্ড কমিটি তৈয়ার করিলেন, সেই কমিটিত কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির অমিত রায় থাকিলেও, অনুপস্থিত ওই দলের অধীরপন্থী অইন্য গ্রুপ। তবে নিখিলের দাবি, জাতিবাদী সোউগ দল এক ছাতির তলোত আসিলে সাফল্য আসিবেই।

অইন্য পাখে অনন্ত রায় এতদিন প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বিজেপিক সমর্থন জানাইলেও, বর্তমানে মহারাজ তৃণমূলের ড্যাকতো সারা দেয়। বংশীবদন বর্মন যতয় ব্যাগল রাইজ্যের দাবি করুক, রাইজ্যের দাবির বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে তাঁর অলিখিত জোটের কারণে কেন্দ্র সরকার পাত্তা দিবেনা বংশীবদনক। মহারাজের দাবি বিজেপিক এতদিন সমর্থন করিয়াও বিজেপি রাইজ্য বা ভাষার দাবি নিয়া ইতিবাচক কোন পদক্ষেপ নেয় নাই, যার কারণে বিশ্বাস নাই বিজেপিক। কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির অধীরপন্থী গোষ্ঠী আবার কেন্দ্র সরকারের কাছত ব্যাগল রাইজ্যের দাবি জানেয়া আসি কর্মসূচি নিসে। তবে, রাইজ্য আর ভাষার দাবিত নস্যশেখ মূসলিম সংগঠণ চুপচাপ আছে অ্যালাও।

কেএলও চিফ জীবন সিংহ ভিডিও বার্তার মইধ্য দিয়া ব্যাগল রাইজ্য আরহ ভাষার দাবিত হুঙ্কার ছাড়েন মাঝে মইধ্যে। বিজেপির প্রতি সরাসরি সমর্থন জানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর হুমকিও দেন। এমনকি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলত বসার প্রস্তাবও দেন। সরকারের পক্ষ থাকি ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয় বুলি দাবি কেএলওর। কিন্তু আলোচনার টেবিলত বসার বাদে জীবন সিংহ যে পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করে কমিটির সেই সদস্যলা রাইজ্য সরকারের নজরদারিত বন্দি। কেন্দ্র সরকার জীবন সিংহের সঙ্গে আলোচনাত বসি উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান ঘটালে গুরুত্ব হারাবেন অনন্ত মহারাজ সহ বাকি নেতালা, এমন আশঙ্কা করেছেন অনেক নেতায়।

এই অবস্থাত বিজেপির সঙ্গে অনন্ত মহারাজের কৌশল তাহলে কি? যতটুকু বুঝা যাছে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিত ভোটের স্বার্থে আপাতত বিজেপিক পাত্তা দেছেন না মহারাজ। বিজেপি উত্তরবঙ্গত অ্যালাও ততটা শক্তিশালী নাহয়, অনন্ত মহারাজের গ্রেটারের উপর নির্ভরশীল৷ এই কারণে মহারাজ আপাতত ধীরে চলো নীতি নিবার পারেন। অইন্য পাখে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির অধীর গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে না থাকিলেও প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করে এই দল। কেন্দ্র সরকার যেহেতু ভাষা আর রাইজ্যের স্বীকৃতি দিবে, এই দল সেই কারণে তৃণমূলের সাথত নাই আপাতত।

তবে, সবকিছুর মধ্যে মূল প্রশ্ন একটায়, যে ভাষার দুইটা নাম রাজবংশী আর কামতাপুরী, ভাষার নাম বিবাদের মতনে কি রাইজ্যের দাবি নিয়া‌ নেতৃত্বের বিবাদ নাগি থাকিবে? নাকি, সগায় মিলি যৌথ মঞ্চ বানে সরকারের উপর বড় ধরনের চাপ প্রয়োগের কৌশল নিবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *