ভিন রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

বিজয় বর্মন,শীতলকুচি: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে। যে কোন ট্রেনে উঠলে  আমরা প্রায়  দেখতে পাই ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। পেট চালানোর জন্য পরিবারের থেকে অনেক দূরে কাজ করেন তারা। এবার ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাস ও বাইকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল শীতলকুচির এক যুবকের। এই ঘটনায় কান্নার রোল ছড়িয়ে পড়ল শীতলকুচি ফুলবাড়ী চৌপতি এলাকার মানুষের।

জানা যায় শীতলকুচি ফুলবাড়ী চৌপতি এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মিয়ার ছেলে  শইদুল ইসলাম । বয়স আনুমানিক 24 বছর।পেটের টানে কাজের তাগিদে তিনি বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত গত মঙ্গলবার পথ দুর্ঘটনায় প্রান হারান সেই সইদুল ইসলামের। তাকে তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনকভাবে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

শুক্রবার তার নিথর দেহ বেঙ্গালুরু থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পৌঁছালো। শীতলকুচি ব্লকের ফুলবাড়ী চৌপতি সংলগ্ন এলাকায়।

এম্বুলেন্সে পৌঁছানোর সাথে সাথেই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পরে কান্নার রোল। বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশীরা কিছুতেই মানতে পারছে না একটা যুবকের প্রাণ আজ আর তার শরীরে নেই। 

একটা তরুন তাজা শরীর যার প্রতি বাবা মা আত্মীয় স্বজনের কতইনা আশা। বাড়িতে  বাবা মা আত্মীয় স্বজনেরা অপেক্ষায় ছিলেন শইদুল  ব্যাঙ্গালুরুতে কাজ করে বাড়িতে পয়সা পাঠাবে । বাড়িতে ভাই বোনেরাও আশা করে ছিল দাদাভাই কাজ করে টাকা পাঠাবে । বাবা মা ভেবেছিলেন ছেলে মোটা টাকা উপার্জন করে বাড়ি ফিরলে হয়তো তার এবার বিবাহের বন্দোবস্ত করা হবে। কিন্তু সে স্বপ্ন আর সার্থক হলো না শইদুলের বাবা মায়ের। তরতাজা যুবক ছেলে কফিনবন্দি হয়ে ফিরল তার বাড়িতে। 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় পাঁচ মাস আগে রুজি রোজগারের তাগিদে‌ ছেলে পাড়ি দিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। সেখানে শ্রমিক হিসেবে সাইডের  কাজে নিযুক্ত ছিল। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকাল বেলা কাজে বেরিয়ে ছিলেন সইদুল , কিন্তু কখন কি হয়ে গেল বাসের ধাক্কায় তার প্রাণ টাই বেরিয়ে গেল। 

জানা যায়, সইদুল  যে কোম্পানিতে কাজ করত, তারা তার সম্পূর্ণ দায়   নেয় নি । তার চিকিৎসা বা তার শরীরকে বাড়িতে পাঠানোর ক্ষেত্রে  কোম্পানি কিছুটা হলেও সাহায্য করেছেন বলে এমনটাই  জানালেন বাড়ির লোকজন। 

যাই হোক সন্তানহারা বাবা মা , পাড়া প্রতিবেশী দাদা ভাইদের কাছে জানতে পারলাম বেঙ্গালুরু থেকে ফেরার করুন কাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *