ভিন রাজ্যে মৃত্যু: দীপু দাসের পরিবারের পাশে প্রশাসন, বিধায়কের আশ্বাস— প্রয়োজনে আন্দোলন
রাজগঞ্জঃ ভিন রাজ্যে মৃত্যু: দীপু দাসের পরিবারের পাশে প্রশাসন, বিধায়কের আশ্বাস— প্রয়োজনে আন্দোলন
ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে প্রাণ হারালেন রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি ফালাকাটা গোকুলভিটা গ্রামের বাসিন্দা দীপু দাস। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ছবি দেখে পরিবারের সন্দেহ জাগে যে এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুক্রবার সকালেই দীপুর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা।
দীপুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজগঞ্জ বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভোরের আলো থানার ওসি সন্দিপ দত্ত, জয়েন্ট বিডিও, জেলা পরিষদের সদস্য রনবীর মজুমদার, বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমিজুউদ্দিন আহমেদ, তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জি, যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতি তুষার দত্ত, বাবলু রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। পুনে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য তিনজনের বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আজ তিনজনকে পাঠানো হচ্ছে পুনে। সেখানে গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। যদি জানা যায় দীপুকে খুন করা হয়েছে, তাহলে জলপাইগুড়ি জুড়ে আন্দোলনে নামা হবে।”
দীপুর ভাই জানান, “মঙ্গলবার আমরা দাদার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আজ বিধায়ক, প্রধান সহ অনেকেই এসেছেন। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা তিনজন পুনে যাচ্ছি, পুলিশ আমাদের সঙ্গে থাকবে। সেখানেই জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।”
ঘটনার পর প্রশাসনের দ্রুত সক্রিয়তা এবং জন প্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে দীপুর পরিবার। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে এখন সকলের নজর পুনে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের বিবৃতির দিকে।
