ভুটান সিমেন্ট দিয়ে চলছিলো গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ! অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ করে সিমেন্ট বদলে দিল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ
শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা:
সাহসী পদক্ষেপ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়কের সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। ভুটান সিমেন্ট ব্যাবহার করে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিলো। যেখানে ভারতীয় সরকারি কাজে এই ভুটান সিমেন্টের ব্যাবহার পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও সরকারি সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে কমদামি সিমেন্ট ব্যাবহার করে চলছিলো রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীর। এমনকি নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ, মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের জন্যই কি এই ধরনের কাজে দুর্নীতি! এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪/২১৫ নম্বর বুথে।
জানাযায়,গ্রাম পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান(MGNREGA) প্রকলের মাধ্যমে ১৪/২১৫ নং বুথে একশো মিটারের একটি গ্রামীণ ঢালাই রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কতৃপক্ষ।এদিন সেই গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদার সংস্থা বেআইনি ভাবে ভুটান সিমেন্ট ব্যাবহার করেন বলেই অভিযোগ, যা সরকারি কাজে পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ!ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার তর্ক বিতর্ক শুরু হলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে পঞ্চায়েত সদস্যকে জানালে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক বিপুল চন্দ্রকে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন।নির্মাণ সহায়ক সেই কাজ খতিয়ে দেখে ঠিকাদার সংস্থাকে সেই কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন, কোনভাবেই এই কাজকে তিনি সমর্থন করবেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিতোষ অধিকারীর অভিযোগ,ভারতীয় সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেই জায়গায় ঠিকাদার সংস্থা নিম্নমানের ভুটান সিমেন্ট দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই আমরা সেই কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ফোন করি। এরপর নির্মাণ সহায়ক এসে ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলে ঠিকাদার সেই নির্দেশ অমান্য করেন।আমরা চাইছি ভুটান সিমেন্টের পরিবর্তে ভারতীয় সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হোক।
গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো সঞ্চালক গোপাল চক্রবর্তী বলেন, এখনো পর্যন্ত আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি।যদি ভুটান সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হয়,তাহলে সেই রাস্তা ভেঙে পুনঃরায় নির্মাণ করাতে হবে।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপু মন্ডল বলেন,আমি এলাকার এক ব্যাক্তির মারফত জানতে পেরে নির্মাণ সহায়ক কে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি।বাকিটা তিনি বলতে পারবেন কারণ টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নির্মাণ সহায়কের।
এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক বিপুল চন্দ্র জানান, আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি ভুটান সিমেন্ট দিয়ে কাজ হচ্ছে। তাই সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সরকারি যেটা সিস্টেম আছে সেভাবেই কাজ করতে হবে।