ভুয়ো কাগজ বানিয়ে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক,ধূপগুড়ি: ভুয়ো জমির কাগজ বানিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা । ঘটনায় চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি ব্লকের মল্লিকশোভা সাধুর ঘাট এলাকার ঘটনা। জানা গেছে, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা অনন্ত চন্দ প্রায় কুড়ি বছর আগে তার ছেলে অনিমেষ চন্দ, অসিত চন্দ, অভিজিৎ চন্দের নামে ধূপগুড়ি ব্লকের মল্লিকশোভা সাধুর ঘাট এলাকায় প্রায় ১১ বিঘা জমি কেনেন। এরপর থেকে অনন্ত চন্দের সেই জমি তার ভাইপো তাপস চন্দ, তপন চন্দ, রতন চন্দরা চাষ আবাদ করতে থাকে। এভাবে সব ঠিক ঠাক চলছিল। এরপর গত বৃহস্পতিবার নাগাদ অনন্ত চন্দের ছেলে অনিমেষ, অসিত ও অভিজিৎ চন্দরা জানতে পারেন তাদের জমি তার কাকাতো ভাইরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কয়েকজনের সহযোগিতায় এমনকি ভূমি রাজস্ব দপ্তরের যোগসাজশে জাল দলিল দিয়ে জমি অন্যত্র রেজিস্ট্রি করে নেয়। এমনকি কি ভুয়ো খতিয়ান বানানোর চেষ্টাও তারা শুরু করে। তাদের জমিতে চাষ আবাদ করা তাদেরই কাকাতো ভাই তাপস চন্দ, তপন চন্দ, রতন চন্দরা।
এরপর অভিযোগ কারিরা ধূপগুড়ি ভূমি সংস্কার দপ্তরে যান। সেখানে গোটা বিষয়টি জানান। এদিকে অসিত, অনিমেষ ও অভিজিৎ চন্দের জমির পাশেই রয়েছে ফটিক রায়ের প্রায় ৪ বিঘা জমি। দেখা যায় ফটিক রায়ের জমিরও ভুয়ো কাগজ বানিয়ে নিয়েছে তাপস, তপন ও রতন চন্দরা। দুরামারি এলাকার দলিল দিয়ে মল্লিকশোভা সাধুর ঘাট এলাকার জমির কাগজ বানানো হয়েছে বলে দাবি অনন্ত চন্দের ছেলেদের। তাদের আরও দাবি এই ঘটনায় গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে তারা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং সাব রেজিস্ট্রার অফিসে লিখিত আকারে জানিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কি করে ভুয়ো জমির কাগজের সাহায্যে একজনের জমি আরেকজন রেজিস্ট্রি দিয়ে দিলেন? আর রেজিস্ট্রার অফিসে কি করে তা রেজিস্ট্রি হল? স্বাভাবিকভাবেই রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিক, ডিড রাইটার সহ সকলের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এবং মোটা টাকার বিনিময়ে এভাবেই অসহায় মানুষদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে ধূপগুড়ি বিএলআরও অফিস এবং সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ।
জমির মালিক অভিজিৎ চন্দ বলেন,” আমাদের নামের জমি আমার কাকাতো ভাইয়েরা চাষ করত। এরপর তারা ভূয়ো কাগজের মাধ্যমে তাদের নামে দলিল বানায়। এই ঘটনায় তাপস, তপন ও রতনের সঙ্গে তাদের দুই আত্মীয় ও একজন সিভিক পুলিশও যুক্ত আছে। তবে আমরা অবাক কি করে কাগজপত্র না দেখেই ভুয়ো দলিল দিলেন অফিসাররা। একারণে আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি।”
ঘটনায় ডিড রাইটার ধ্রুবজ্যোতি রায় বলেন,” আমার কাছে ওরা কাগজপত্র নিয়ে আসে। বলে কাগজপত্র ভুল রয়েছে তা ঠিক করে দেওয়ার জন্য। এখন যদি ওরা সঠিক কাগজ দেখাতে না পারে তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।”
যদিও এবিষয়ে ভূমি রাজস্ব আধিকারিক কিছু জানাতে চাননি।