মহিলা বিশ্বকাপে বাজিমাত হরমনপ্রীতদের, শিলিগুড়ির রিচা ঘোষের ঝলকেই উজ্জ্বল গোটা দেশ
শিলিগুড়ি : মহিলা বিশ্বকাপে বাজিমাত করেছে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মহিলা দল। দলের সাফল্যের অন্যতম মুখ শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ। ব্যাট হাতে কিংবা গ্লাভস হাতে — দু’দিকেই নজর কাড়ছেন তিনি। রিচার ঝলমলে পারফরম্যান্সে মুখর গোটা দেশ, গর্বে উজ্জ্বল গোটা উত্তরবঙ্গ।
রিচা ঘোষের এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছে গোটা প্রজন্মের উঠতি ক্রিকেটাররা — বিশেষত মেয়েরা। তবে রিচার ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পথ মোটেই সহজ ছিল না। শিলিগুড়িতে মেয়েদের জন্য আলাদা ক্রিকেট ক্যাম্প বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় ছেলেদের সঙ্গেই অনুশীলন করতে হয়েছে তাঁকে।
রিচার ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় মাত্র আট বছর বয়সে, বাবা মানবেন্দ্র ঘোষের হাত ধরে। তিনিও ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন। শিলিগুড়ি কলেজ মাঠের বাঘাযতীন ক্রিকেট একাডেমিতে ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেই নিজের জায়গা পাকা করে নেয় রিচা।
তখনও উত্তরবঙ্গে মেয়েদের ক্রিকেটের তেমন প্রচলন ছিল না। কিন্তু রিচা ও তাঁর পরিবারের জেদ ও প্রতিশ্রুতি হার মানায়নি পরিস্থিতিকে। জেলা স্তর থেকে রাজ্য দলে, তারপর অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার পর রিচা হয়ে ওঠেন ভারতের ‘পাওয়ার হিটার’। উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এও তাঁর পারফরম্যান্স নজর কাড়ে।
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার বলেন,
“রিচা শিলিগুড়ির নাম গোটা দেশে উজ্জ্বল করেছে। প্রতিটি ইনিংসে ওর যে দৃঢ়তা, তা সত্যিই অনবদ্য।”
আজ রিচা ঘোষ শুধু শিলিগুড়ি নয়, গোটা বাংলার গর্ব। তাঁর সাফল্যের গল্প প্রমাণ করে — প্রতিভা আর অধ্যবসায় থাকলে কোনো বাধাই অদম্য নয়।
