মানিকচক-সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল কংগ্রেস
মালদার মানিকচক ব্লকের ভুতনি থানার অন্তর্গত উত্তর চন্ডিপুর গ্রামীণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির রবিবার নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হলো আদালতের নির্দেশে প্রায় ৩০ বছর পর। ছটি আসন বিশিষ্ট এই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি, যেখানে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস সঙ্গে সমঝোতার মধ্যে দিয়ে আসন সংখ্যা ভাগ করে নিজেদের প্রার্থীর মনোনয়ন করায়। ছটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করে এবং দুটি আসনে কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থী দেয়। আর ভোট গণনার পর এই দুই দল মিলেই নির্বাচনে বাজিমাত করে। তৃণমূল সমর্থিত চারটি আসনে জয়লাভ করে এবং কংগ্রেস সমর্থিত দুটি আসনে জয়লাভ করে ভোট গঠন প্রক্রিয়া আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু করবে। অন্যদিকে এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় বামফ্রন্টকে দেখা যায় যারা রাজ্যের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে একাই লড়াই করে ছটি আসনে , তবে একটি আসনেও জয়লাভ না করলেও ভোটারদের মনে দাগ কাটতে পেরেছে বলে দাবি বামফ্রন্ট নেতৃত্বের। এই সমবায় সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ৭২১ জন যার মধ্যে ৩৭৭ জন ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ।
রবিবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভূতনি থানার পুলিশ প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া চলে।
এই বিষয়ে বামফ্রন্ট নেতা দেবজ্যোতি সিনাহা বলেন এই নির্বাচনের কংগ্রেস তাদের সঙ্গে জোটে আসেনি। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি । কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোটে লড়াই করলে ফল আরো ভালো হতো বলে তিনি জানান। তবে বামফ্রন্ট কে মানুষ ভোট দিয়েছে।
জয়ের পর মানিকচক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জানায় এই জয় উন্নয়নের জয় ,সাবিত্রী মিত্রের নেতৃত্বে এই নির্বাচনে আমরা লড়াই করেছি এবং জয়লাভ করেছি।
অন্যদিকে মানিকচক বিধানসভার তৃণমূল বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র বলেন দীর্ঘদিন ধরে এই সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হয়েছিল না আদালতের নির্দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলো। কংগ্রেসের সঙ্গে ছোট্ট জোট করে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করেছে। আগামী দিনে সবাইকে নিয়ে সমবায় সমিতির উন্নয়ন করা হবে।