মুকুলনের ৫ বছর পরেও কর্মহীন অবস্থা’ত মানিকচকের কর্মতীর্থ

রাহুল মন্ডল, মালদা:

তৈয়ারির পর কাটি গেইসে পাঁচ বছরেরও বেশি সময়। এলাও অব্যবহৃত অবস্থাত পড়ি আছে কোটি টাকার “কর্মতীর্থ”। মালদহত একদিনের জইন্যও চালু হয় নাই মানিকচকের সরকারি কর্মতীর্থ। একঝনও ব্যবসায়ী এইঠে ঘর নেয় নাই। ফাঁকা পড়ি থাকি থাকি নয়া ভবন কার্যত “ভুতুড়ে” বাড়িত পরিণত। কর্মতীর্থ আর চালু হবে নাই ধরি নিয়াই এলা ওই ভবনত সরকারি কুনও দপ্তর শুরুর কাথা ভাবেসে প্রশাসন। অত্যাধুনিক দ্বিতল ভবন তৈয়ারি হইসে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা হইসে। পানীয় জলের যোগান আছে। যাতায়াতের বাদে পাকা রাস্তাও আছে। তাহ, তালাবন্দি দশা ঘোচে নাই মালদহের মানিকচক কর্মতীর্থের। ২০১৫–২০১৬ বছরে মালদহের মানিকচকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর এলাকাত কোটি টাকা খরচ করে তৈয়ার হইসিলো সরকারি কর্মতীর্থ। উদ্দেশ্য ছিল, উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করে কৃষক আর ছোট ব্যবসায়ীলার আধুনিক বাজারের সুবিধা দেওয়া। মানিকচক এলাকাত ছড়ায়া ছিটিয়া থাকা বাজার গিলাক এখেই ছাদের তলাত নিয়া আসা। কিন্তু, তৈয়ারির পর প্রথম দিন থাকিই কুনও ব্যবসায়ী বা দোকানদার এই কর্মতীর্থত দোকান নেওয়ার আগ্রহ দেখায় নাই। রাজ্য সড়ক থাকি ভালে কনেক দূরত কার্যত ফাঁকা বাগানের মইধ্যত কর্মতীর্থ তৈয়ার হওয়াকেয় এই বাদে দায়ী করিসেন সগায়। পরিস্থিতি এনং অবস্থাত দাঁড়াইসে যে, বিকল্প হিসাবে এলা ওই কর্মতীর্থতেই সরকারি অফিস চালুর কাথা ভাবেসে প্রশাসন।

মানিকচকের কামালপুরের যেই জাগাত কর্মতীর্থ তৈয়ার হইসে সেইটার অগলেবগলের এলাকা যথেষ্ট ফাঁকা। বিকাল গড়িতেই গোটা এলাকা কার্যত শুনশান চেহারা নেসে। ব্যবসায়ীলার আশঙ্কা, ওই এলাকাত ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাই। বগলাবগলি, রাজ্য সড়ক থাকি কর্মতীর্থের দূরত্ব প্রায় আড়াইশো মিটার। ফলে কিতায় ওই এলাকাক কর্মতীর্থ তৈয়ারের বাদে বাছি নেওয়া হইল ? সেইটা নিয়া প্রশ্ন তুলিসেন ব্যবসায়ীলা। কর্মতীর্থত যায়া ব্যবসা করার মতন পরিবেশ নাই বুলি মত ব্যবসায়ীলার।

মানিকচকত কোটি টাকা ব্যয় করে কর্মতীর্থ তৈয়ারির পরেও সেইটা চালু করির না পারাক সরকারি অর্থের “অপচয়” বুলিই সরব হইসে বিরোধীলা। এইবাদে সরকারি পরিকল্পনার ত্রুটিক দুষেছে বিজেপি আর সিপিএম। অবিলম্বে কর্মতীর্থক ব্যবহার করার বাদে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি করিসে বিরোধীলা। দীঘিলাদিন ব্যবহার না হওয়া ফাঁকা কর্মতীর্থ এলা নানানরকম অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়া উঠিসে বুলি দাবি অনেকঝনেরেই। শেষপইর্যন্ত কত দিনে কর্মতীর্থ ব্যবহারযোগ্য হবে এলা সেইটায় বড় প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *