মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জেলা যুব তৃণমূল সহ-সভাপতির হাতে স্মারকলিপি গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের
নিউজ ডেস্ক,করনদিঘী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশ্যে উত্তর দিনাজপুর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সালকিন দাসের হাতে কয়েক দফা দাবীর স্মারকলিপি তুলে দিলেন “ভিলেজ রিসোর্স পার্সন” (VRP) বা গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী ব্লকের রাহুল সংকৃত্যান মঞ্চে বাংলার যুব শক্তি নামে দলীয় মিটিং এ আগত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যুব সহ-সভাপতির হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। করনদিঘী ব্লক ভিআরপি সংগঠন সূত্রে জানা যায় গত ২০১৫-২০১৬ আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প,বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজের সোশ্যাল অডিট করার জন্য বছরে ১৫ দিনের হিসাবে সোশ্যাল অডিটের অধীনে দক্ষ শ্রমিকের মজুরীর হারে সম্পূর্ন পরীক্ষা পদ্ধতি মেনে প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ জন করে নিয়োগ হয়েছিলেন।পরে ১৫০ টাকা দৈনিক মজুরীতে মাসিক ২০ দিনের হিসাবে পতঙ্গবাহিত রোগ নিরাময়ের কাজে যুক্ত করা হয়।বর্তমানে যা ১৭৫ টাকা দৈনিক মজুরীতে ৩৫০০ টাকার মাসিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।এছাড়া বর্তমানে করোনা মহামারির সময়ে কোনো স্বাস্থ্য বিমা ও সুরক্ষা ছাড়াই কোভিড-১৯ ও বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ করছেন।এপ্রসঙ্গে করনদিঘী ব্লক ভিআরপি সংগঠনের সভাপতি মনোজ কুমার সিনহা বলেন রাজ্যে ২৫০৪০ জন ভিআরপি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে স্বল্প পারিশ্রমিকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন।মনোজ বাবু আরো বলেন গত লোকসভা নির্বাচনের সময় দিদি আমাদের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন ভোটের পরে একটা সিস্টেমের মধ্যে এনে মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করে দেবেন।ভোট মিটে গেলেও আজও আমাদের সিস্টেমের মধ্যে এনে বেতন বৃদ্ধি করেননি।অপর ভিআরপি সাহাবুল হক বলেন বছরের বিভিন্ন সময়ে আমরা ডেঙ্গু নির্মূলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা,স্যানিটেশন সার্ভে,এসটি সার্ভে,রেশন কার্ডের দরখাস্ত জমা নেওয়া ও ফুড কুপন বিলি করা সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি,তবুও আমরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত।করনদিঘী ব্লক ভিআরপি সংগঠনের কোষাধক্ষ্য জয়গোপাল সিংহ বলেন বিগত লোকসভা ভোটের প্রতিশ্রুতি মনে করে দিতে আজ আমরা উত্তর দিনাজপুর জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতির হাতে পুষ্পস্তবক ও স্বারকলিপি তুলে দিয়েছি।আশা করছি তিনি আমাদের দু:খ দূর্দশার কথা দিদির কাছে তুলে ধরে দিদি আমাদের বেকারত্বের জ্বালা মিটাবেন।
