রাজনীতির সাথে সাথে সমান তালে পৌরোহিত্য করছেন জলপাইগুড়ির জয়ন্ত চক্রবর্তী
বাপ্পা রায়, ময়নাগুড়ি, ৩০ ডিসেম্বর : রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, যজমানি বা পৌরোহিত্য, পৌরোহিত্যের জায়গায়। এই বাক্যের ব্যবহার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলছেন জলপাইগুড়ির পান্ডা পাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত চক্রবর্তী। রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে পুরোহিতের কাজে হয়ে ব্যস্ত পড়ছেন জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট পুরোহিত জয়ন্ত চক্রবর্তী। একদিকে যেমন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন, ঠিক অপরদিকে সমানতালে যজমানি করতে ব্যস্ত তিনি। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা জয়ন্ত চক্রবর্তী আধুনিক পুরোহিত বা ডিজিটাল পুরোহিত নামেও ইতিমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছেন । একেবারেই আধুনিক ঢঙে তিনি পূজা আর্চনা করেন। তাঁর মন্ত্রোচ্চারনে থাকে সুন্দর ভঙ্গিমা। আর যার জেরেই অতি সহজেই সাধারণ মানুষের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন জয়ন্ত বাবু। শুধু জলপাইগুড়ি নয় তার এই পূজা আর্চনায় সন্তুষ্ট হয়ে, উত্তরবঙ্গে ছাড়াও হায়াদ্রাবাদ, বেঙ্গুলুর, আনন্দমান প্রভৃতি জায়গায় পুরোহিত্য করার জন্য ডাক আসে। একেই ধারে তিনি আবার মঞ্চ কাঁপানো নাট্যকার,নাট্য শিল্পী। ইতিমধ্যে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছেন তিনি। বিভিন্ন সম্মান পেয়েছেন নাটকের আঙিনায় । তবে,তিনি দলীয় ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক, কর্মী।তাই সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কোমড় বেঁধে দলীয় কাজে নেমে পড়েছেন। রাজনৈতিক সভাস্থল থেকে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার নিজের রাজনৈতিক দলকে। জানা গেছে, ২০১৯ এ নাগাদ তিনি জলপাইগুড়ির বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পরেও দলের কাজের জন্য ব্যস্ত, তবে খামতি রাখেনি পূজা আর্চনায়, ছুটে গেছেন সিপিএম বিজেপি তৃনমূল সকলের বাড়িতে, পূজা করতে।পৌরহিত্যের সময় তিনি রাজনৈতিক রঙ দেখেন না বলেও জানান বিশিষ্ট পুরোহিত জয়ন্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মানুষ মাত্রই ভগবান। তাই দল দলের জায়গায় পৌরহিত্য পৌরহিত্যের জায়গায়। পূজার্চনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি বাড়ি যেতে হয়। সেই সময় তারাও আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। এভাবেই সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যাতে আগামীদিনে চলতে পারি এটাই প্রার্থনা করছি সকলের কাছে।”