রাজবংশী-কামতাপুরি সমাজের উন্নয়নের তানে কুনটা কার্যকরী, অটোনমাস কাউন্সিল না ডেভেলপমেন্ট বোর্ড?

অর্জুন বর্মন এর বিশেষ প্রতিবেদন

Autonomous Council আর Development Board এর মইধ্যে পার্থক্য আছে।
পাহাড়ত একটা GTA (Autonomous Body) আছে, পাশাপাশি ১৫/১৬ টা Development Board আছে। কার কাজ করার ক্ষমতা কতটা সেইটা জানা দরকার।
পার্মানেন্ট স্কুল শিক্ষক নিয়োগ করার তানে TET নেওয়ার ক্ষমতা পাইসে GTA, পাশাপাশি আরহ মেলা ডিপার্টমেন্ট GTA এর অধীন। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়া কাম করার ক্ষমতা আছে GTA এর। কিন্তু Development Board এর ক্ষমতা সীমিত।
পাহাড় আর উত্তরবঙ্গত পৃথক রাজ্যের দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবি নিয়া মাঝেমধ্যেই আন্দোলন হয়। পৃথক রাজ্যের দাবি যাতে না উঠে সেইতানে উন্নয়নক গুরুত্ব দেছে সরকার। পাহাড়ের উন্নয়নের তানে পাহাড়ত আগত DGHC (দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল) হইসিলো তারপর আরহ পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়া আন্দোলন হয়। পরে আরহ বেশি ক্ষমতা নিয়া GTA (গোর্খা টেরিটোরিয়্যাল এডমিনিস্ট্রেশন) হইসে, তারপর আলাদা আলাদা জাতি/সম্প্রদায়ের ডেভেলপমেন্ট বোর্ড হইসে।

উত্তরবঙ্গত আগত রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট বোর্ড হইসে, এইবার নস্যশেখ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড হইল। এরপর হয়ত খেন, তেলি, যোগী সহ কোচ-রাজবংশী বা কামতাপুরি সমাজের সউগ জাতি/সম্প্রদায় ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর তানে আন্দোলন শুরু করিবে। হয়ত ধীরে ধীরে পায়াও যাবে কিন্তু একটা GTA এর যা ক্ষমতা পাহাড়ের ১৫/১৬ টা Development Board এর কি সেই ক্ষমতা আছে?

GTA এর মত উত্তরবঙ্গত হামারো একটা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার দরকার ছিল। কিন্তু অনেকে নিজের নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ায় ব্যস্ত। রাজবংশী-কামতাপুরি ভাষাভাষী বৃহত্তর সমাজের তানে দাবি না করিয়া জাতি/সম্প্রদায়/ধর্ম ভিত্তিক উন্নয়ন বোর্ড নিয়ায় ব্যস্ত।
আসাম সরকার Kamtapur Autonomous Council দিল, এই কাউন্সিলের কাম করার ক্ষমতা কতটা সেইটা ধীরে ধীরে বুঝা যাবে। যদি GTA এর মতন ক্ষমতা পায় তাহলে অনেক কাম করার সুযোগ থাকিবে।

রাজবংশী /কামতাপুরি ভাষাক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি, ভাষা একাডেমি, ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, এক্স কেএলও, লিঙ্কম্যান গিলাক জেল থাকি মুক্তি আরহ চাকুরীর ব্যবস্থা সহ বেশকিছু ভাল ভাল কাম বর্তমান রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজবংশী-কামতাপুরি সমাজের উন্নয়নের তানে করিসে যা আগত হামা পাই নাই। সেইজন্য এই সরকারক ধন্যবাদ জানাই। সেই তুলনায় কেন্দ্র সরকার কিন্তু এই রাজ্যের নির্বাচনের আগত খালি প্রতিশ্রুতি দিয়ায় খালাস!

উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্রলার উন্নয়নের আরহ কাম করার তানে উত্তরবঙ্গতো হামার একটা নিজস্ব অটোনমাস কাউন্সিল দরকার। নারায়নী সেনা, মাওয়ের ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির পাশাপাশি আইসা বিধানসভা নির্বাচনত উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র সংগঠনলার পক্ষ থাকি এইটাও একটা ইস্যু হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *