রেশন দুর্নীতির অভিযোগ,এসডিওকে স্মারক লিপি গ্রাহকদের

নিউজ ডেস্ক, ঘোকসাডাঙ্গা, ৯ মে:- দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। আর এই লকডাউনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। রেশনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে চাল ও আটা । কিন্তু কোন কোন রেশন দোকানে নির্দিষ্ট চাল বা আটা প্রদান করা হচ্ছে না গ্রাহকদের। এমনি অভিযোগ তুলে এসডিওকে স্মারক লিপি প্রদান করলো কিছু গ্রাহক। এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক তিমির বরণ চ্যাটার্জী বলেন বিষয়টি জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি। জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের উনিশ বিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়ার হাট গ্রামে একটি রেশন দোকান রয়েছে। মন্তেস্বর বর্মনের নামে ডিলার শিপ থাকলেও রেশন চালান ওনার ছেলে জগদীশ বর্মন। অভিযোগ জুন মাসে ২ কেজি চালের সঙ্গে যে আটা দেওয়া হত তা তিনি অনেককে কম দিয়েছেন। যার চারটি কার্ড রয়েছে তার আটা পাওয়ার কথা ১২ পেকেট কিন্তু ডিলার তাকে দিয়েছে আট পেকেট। এমন অনেককে কম দিয়েছে বলে জানান সুতার পাড়া গ্রামের গ্রাহক স্বপন সরকার, নৃপেন্দ্র নাথ রায়,বিমল রায়,জগদীশ কর প্রমুখরা। এ বিষয়ে গ্রাহক স্বপন সরকার বলেন,আমার আটটি কার্ড সেই মত আমি আটা পাবো ২৪ পেকেট কিন্তু প্রথম সপ্তাহে আমাকে আটা দিয়েছে ৮ পেকেট। পরের সপ্তাহে আমাকে আরো আট পেকেট আটা দিচ্ছিল আমি বলছি আমার তো আরও ১৬ পেকেট আটা পাওয়ার কথা ডিলার আমাকে বলছে এই আট পেকেট নিলে নে না নিলে জা। আমি আটা না নিয়ে চলে এসেছি আমাকে আর ডাকেও নাই। ভাবছিলাম পরের মাসে আমাকে দিয়ে দেবে কিন্তু চলতি মাসে সেই আটা আমাকে দেয় নি তাই ৫ ই মে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসককে স্মারক লিপি দিয়েছি যাতে আমরা বঞ্চিত না হই। এ রকম অনেক কেই চাল বা আটা কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেন স্থানীয় অনেকে। এ বিষয়ে রেশন ডিলার মন্তেস্বর বর্মনের ছেলে জগদীশ বর্মন বলেন, আমরা কাউকে মাল কম দিই নি। এটা আমাকে কলঙ্কিত করার জন্য একটা চক্রান্ত। আমার দোকানে প্রায় সাড়ে চার হাজার কার্ড আছে কারো কোনো অভিযোগ নেই শুধু সুতার পাড়ার কয়েক জনের অভিযোগ তাও আবার এক মাস পর। আমি তো কাউকে মাল কম দেয়নি তার পরেও আমি বার বার লোক দিয়ে খবর দিয়েছি যাদের অভিযোগ তারা যেন রেশন এসে মাল নিয়ে যায় কি আছে লক ডাউনে আমার ক্ষতি হলেও আমি তাদের মালটা দেব। কিন্তু তারা আমার রেশনে আসেনি তাহলে আমি কি করে তাদের মালটা দেব। এ গুলো আমাকে কাঙ্কিত করার একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। অন্যদিকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক তিমির বরণ চ্যাটার্জির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *