লক্ষীর ভান্ডার চাইনা, পারলে সেটা কেটে দিয়ে নদীর বাঁধের ব্যবস্থা করুক।

রাহুল দেব বর্মন, কোচবিহার: লক্ষীর ভান্ডার চাইনা। পারলে সেটা কেটে দিয়ে নদীর বাঁধের ব্যবস্থা করুক। এলাকার সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ভোটের আগে গলায় তুলসির মালা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিল ভোটে জিতলেই নদীর বাঁধ হয়ে যাবে। কিন্তু ভোটে জেতার পর আর এই এলাকায় তিনি আসেন না। তাই এবার যদি ভোট প্রচারে তিনি আসেন তাহলে মহিলারা বাধ্য হবে জুতো এবং ঝাঁটা নিয়ে বের হতে। দিনহাটা ১ নং ব্লকের বুড়া ধরলা নদীর ভাঙ্গনে জর্জরিত দ্বারিকামারী গ্রামের বাসিন্দারা এভাবেই প্রকাশ করলেন তাদের ক্ষোভ। বাসিন্দাদের অভিযোগ নদী ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করার এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চরম সমস্যায় পড়ে রয়েছে। এমনকি গ্রামের ভিতরে ঢোকার একমাত্র রাস্তা সেটাও এবার নদীর কড়াল গ্রাসে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। চাষের জমি বসতবাড়ি সেটা আগেই গিয়েছে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক অজয় রায় বলেন জনপ্রতিনিধি দের উচিত ভোটে জেতার পর অবশ্যই নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের দেখা পাওয়া যায় না। কারণ তারা জানে 2026 নির্বাচনের পর তারা এ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সেই কারণেই তারা সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সামনে আসতে চান না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *