লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার জেরে ধস নেমে ভাঙছে ডুডুয়া নদীর বাঁধ,ক্ষতির মুখে এলাকার কৃষিজমি
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন,সিঙ্গিজানি,২৯সেপ্টেম্বর:- কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা দুই নং ব্লকের অন্তর্গত বড়শৌলমারী ও ফুলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা উল্লেখযোগ্য সূর্যোদয় সংঘের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষ সীমানা বরাবর বয়ে চলা ডুডুয়া নদীর পূর্ব প্রান্তে শিশাবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার কয়েক দিনের বৃষ্টির ও নদীগর্ভে বন্যার জেরে ধস নেমে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা নদী বাঁধ ভেঙে চলাচলের মূল রাস্তা ও কৃষিজমি ক্ষতির সম্মুখে।
জানা যায় প্রায় পঁচিশ বছর আগে ডুডুয়া নদীর বাঁধ তৈরি হয় ।এরপর প্রায় দশ বছর আগে প্রচন্ড জলস্রোত ও গভীরতার জেরে এপ্রোন ভেগে যায় । কিন্তু বর্তমানে উত্তরবঙ্গের লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বন্যার জেরে ধস নেমে পিচিং ভাংছে বলে স্থানীয় প্রকাশ বিশ্বাস,চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, কার্তিক রায়, সজল মজুমদাররা জানান। তারা বলেন এমত অবস্থায় তড়িঘড়ি বাদ সংস্কার করা প্রশাসনের উচিত না হলে প্রায় কয়েকশো বিঘা কৃষিজমি ,ঘরবাড়ি ও এই এলাকার চলাচলের প্রধান রাস্তা নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই বিষয়ে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাদেব বিশ্বাস জানান ঘটনাটি পরিদর্শন করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে চিঠি মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে মাথাভাঙা দুই নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি রায় তারফদার জানান গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে প্রধান সাহেব আজকেই জানিয়েছেন । সব কাজ পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিও সাহেব করা সম্ভব নয় ।তবে বর্তমানে নদীর বাঁধ ও কৃষি জমির ক্ষয় রুখতে প্রধান সাহেব কে বাঁশের বেরিগেট বস্তা দিয়ে ধস রোধ করতে ।গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন কাজে প্রকল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিষয় টি এডিকন জানানো হবে যাতে নুতুন করে বাঁধ তৈরি ও রিপেয়ারিং করা যায়।