শিশুদের খেলার সরঞ্জাম বাড়িতে পরাকে কেন্দ্র করে ২ পরিবারের বিবাদ, ধারালো অস্ত্রে জখম ৬
পরিমল বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা, ১৫ এপ্রিল :- ভুট্টার ছিলাক ক্রিকেট বল বানিয়ে খেলছিল বাড়ীর শিশুরা আর সেই বল গিয়ে পরে প্রতিবেশী এক বাড়িতে। বাড়িতে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ তুলে শুরু হয় ২ পরিবারের মধ্যে বচসা সেই বচসা দাড়ায় হাতাহাতিতে এমনকি রাম দা, কুরুল, হাতুড়ি দিয়ে চলে মারধর। ঘটনায় ২ পরিবারের মধ্যে জখম হয়েছে ৭ জন। ঘটনায় ২ পরিবারই একে অপরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দিলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবীনের দোলা গ্রামে শুক্রবার রাতে ।জানা গিয়েছে, নবীনের দোলা গ্রামের বাসিন্দা জগবন্ধু বিশ্বাসের বাড়িতে দিদির হাতে ভাই ছাতু খেতে ধুপগুরি থেকে আসেন তার শালক তার স্ত্রী ও পুত্র। বাড়িতে আরো কয়েকজন বালক ছিল তারা বাড়ির উঠানে ভুট্টার ছিলাকে ক্রিকেট বল বানিয়ে খেলা খেলছিল এবং কোন একসময় সেই বল চলে যায় প্রতিবেশী ঠাকুর দাস মণ্ডলের বাড়িতে বলে জানায় জগবন্ধু বিশ্বাসের স্ত্রী আলো বিশ্বাস। আর কে ঢিল মারল কে ঢিল মারল বলে শুরু হয় তরজা এবং নানান অশ্রাব্য ভাষায় শুরু হয় গালি গালাজ বলে দাবি করেন আলো বিশ্বাস। এরপর সেই বচসা থেকে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। যদিও আলো বিশাস সহ তার পরিবারের সদস্যের দাবি ঠাকুর দাস মণ্ডলের দুই পুত্র এবং ঠাকুর দাস মণ্ডল রাম দা, কুড়ুল, হাতুড়ি সহ নানান ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সামনে হুংকার দিলে ছেলে সাগর বিশ্বাস সামনে গেলে তাকে কুড়ুল দিয়ে হাতে চোট দেয়। এরপর বৌমা অতসী বিশ্বাস আটকাতে গেলে বৌমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আমি আটকাতে গেলে আমার বুকের মাঝখানে বসে কিল ঘুষি মারতে থাকে এমনকি আমার কানের রিং ধরে টান দিয়ে আমার কান কেটে নেয়। অপর দিকে প্রতিবেশী ঠাকুর দাস মণ্ডল এবং তার ছেলে তারাও গুরুতর জখম হয়ে হাস পাতালে চিকিৎসা ধিন। ঠাকুর দাসের মেয়ে জানান, মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়িতে ঢিল ছোড়ে তারা, বাড়িতে মা অসুস্থ্য গত কাল রাতেও তারা ঢিল মারে আর এই কথা বলতে গিয়ে আমার দুই দাদা এবং বাবাকে তারা মারধর করে। আমার এক দাদা এবং বাবা ঠাকুর দাস মণ্ডল এখন কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পরিবারের মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্তে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ।