শীতলকুচি তে সাংবাদিক নিগ্রহ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তিকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত
কোচবিহার,গত মে মাসের কুড়ি তারিখ কান্তেশ্বর ঘরে খবর সংগ্রহ করতে যান একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক শীতলকুচি র মনোজ বর্মন। প্রথমে তার সঙ্গে বচসা হয় তারপর। সেখানে অনেকক্ষণ ধরে মনোজ বর্মন পড়েছিল তারপর কান্তেশ্বর গড়ে।তারপর শীতলকুচি অন্যান্য সাংবাদিকদের তৎপরতায় খবর যায় পুলিশের কাছে।তৎক্ষণাৎ শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আনে। প্রথমে তার মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায় নি পরবর্তীতে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়। তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেয়। তারপর সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামে গণতান্ত্রিক উপায়ে। শীতলকুচি সহ মাথা ভাঙ্গায় মিছিল করা হয় এবং অ্যাডিশনাল এসপির সঙ্গে দেখা করে মনোজ বর্মন এর উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। একুশে মেয়ে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তিকে মাথাভাঙা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন 14 দিনের। আজকে ফের আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।এ বিষয়ে মাথাভাঙা মহাকুমার আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ রায় বসুনিয়া বলেন অভিযুক্তদের জামিন খারিজ হয়ে গেছে আদালত আগামী 17 ই জুন পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে মাথাভাঙা মহাকুমার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি তথা সাংবাদিক কাজল রায় বলেন, আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা সত্যিই খুশি।তবে সাংবাদিক মনোজ বর্মন এর মোবাইলটি এখনো উদ্ধার হয়নি ।আমরা পুলিশের কাছে অনুরোধ করবো দ্রুত যাতে মনোজ বর্মন এর মোবাইলটি উদ্ধার করার ব্যবস্থা করে পুলিশ।