শীত পড়তেই শোনা যাচ্ছে ধুনকরদের লেপ সেলাইয়ের ধনুক যন্ত্রের ঠুংঠাং শব্দ
জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ এই ডিসেম্বর মাসে সন্ধ্যে বা সকাল হতেই ঠান্ডায় সকলে কমবেশী কাঁপছে। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীত এখন সবার দোরগোড়ায়। আর সেই ঠান্ডা থেকে বাঁচার দরুন সকলে লেপ বানানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন পাড়ায় পাড়ায়। শোনা যাচ্ছে ধুনকরদের লেপ সেলাই করার ধনুক যন্ত্রের ঠুং ঠাং শব্দ যা থেকে আন্দাজ করা যায় লেপ বানানোর প্রস্তুতি চলছে। হেমন্তের শেষে রাতভোরে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে আবহাওয়া। শীতের ছোঁয়া লেগেছে সাধারণ মানুষের গায়ে। আর এই শীতের পরশ লাগতেই পাড়ায় পাড়ায় গলিতে গলিতে শোনা যায় ধুনকরদের ঠুং ঠাং আওয়াজ। এবছর করোনা পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায় কিছুটা মন্দা থাকলেও বিয়ের মরশুম থাকায় অর্ডার পাচ্ছেন ধুনকরেরা। প্রতিবছরের মতো এবারে পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে ধুনকরদেরা নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে দক্ষীন দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায়। একটু বেশি উপার্যনের জন্য প্রতিবছর তাঁরা শীতের সময় আসেন লেপ বানাতে। বিনয় কুমার নামে এক ধুনকর জানান, আগের মতো লাভ হয় না তাঁদের হাতের তৈরি লেপ সাড়ে সাতশো টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এখন যেভাবে বাজারে রকমারি কম্বল এসেছে তাতে করে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে অনেক। ছোট বেলায় পারিবারিক সূত্রে এই কাজ শেখা, তাই পেশাগত ব্যবসার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হয় তাঁদের। আরেক ধুনকর ছোট্টু যাদব জানান, তিনি প্রতিবছর বিহার থেকে এই রাজ্যে আসেন লেপ বানাতে। এদিকে শীত পরার জন্য একটু মুনাফা লাভের আসায় এবারো এসেছেন।পথ চেয়ে আছেন বিক্রীর অপেক্ষায়।তার উপর অগ্রহায়ণ মাস বিয়ের মাস হবার জন্য মুনাফা লাভ একটু বেশি হয়ে থাকে।