সমতলে বন্যা, পাহাড়ে ধস, বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় বাসিন্দারা
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ নিম্নচাপের জেরে দার্জিলিং ও ভূটান পাহাড় এবং সমতলে প্রবল বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় পাহাড়ে ধস নেমেছে, সমতলে তিস্তা নদী সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি ও ক্রান্তি ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই সমতলে এনডিআরএফের টিম নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ও ক্রান্তি ব্লকের তিস্তা সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের মঙ্গলবার রাতেই সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পাহাড় ও সমতলে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে তিস্তায়, রাত বারোটা পর্যন্ত ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে তিস্তা নদীর গজলডোবা এলাকাতব্যারেজ থেকে। এজন্য জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহারের হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জে। ময়নাগুড়ি ও ক্রান্তির জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে দার্জিলিং ও ভূটান পাহাড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের দরুন ব্যাপক এলাকায় ধস নেমেছে। ধসে ভেঙেছে সড়ক, বাড়িঘর। কালিম্পংয়ে ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। তিস্তার জল দশ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যায় এমনকি নিচু এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে বাড়িতে। কালিম্পংয়ের শেলপোখরি লাভাতে ধস নেমে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। শেরপাগাঁওয়ে পাসাং শেরপা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির কাছে ধসের ফলে বসে গিয়েছে সড়ক। বন্ধ হয়ে পড়ে যোগাযোগ। বহু বহুতলের সামনে ধস নেমেছে। বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা।