সরকারী বাস ডিপোর নির্মাণ কাজ সমাপ্তি, উদ্ধোধন না হওয়ায় বিক্ষোভ বাসিন্দাদের, শুরু তৃণমূল বিজেপির তর্জা

চাঁচল; ২৩ সেপ্টেম্বর:

ছয়মাস হল শেষ হয়েছে নির্মাণ কাজ।তারপরেও তালা বন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস ডিপো।আর এই নিয়েই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জমি দাতা থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের মধ‍্যে।দ্রুত বাস ডিপো চালু করা হোক এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে অবস্থিত উত্তরবঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার নবনির্মিত বাস ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।আর এই ডিপো স্থানন্তারন নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তর্জা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে উত্তরবঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার সরকারি বাস ডিপো রয়েছে ৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে চাঁচল শহরে।কয়েক দশক ধরে ভাড়ার জায়গাইতেই চলে আসছে এই ডিপো।বর্তমানে এই ডিপোর বেহাল দশা।গ‍্যারেজ থেকে শুরু করে বাস পার্কিং এবং অফিস সর্বত্র বেহাল চিত্র।শেষমেষ পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই ডিপো থেকে তিন কিমি দূরে কলিগ্রামে সরকারি জমিতে নির্মাণ করা বাস ডিপো।নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ছয়মাস হল।কিন্ত তারপরেও থমকে রয়েছে বাস ডিপো উদ্ধোধনের কাজ।তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে সরকারি ডিপো।ফলে সামনের অংশ দখলে যাচ্ছে ঠিকাদারি সংস্থার বালি ও পাথরের।যা নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এলাকার মানুষজনের মধ‍্যে।

বিক্ষোভকারী অশোক রায় চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক গড়িমসির কারনেই ডিপোর উদ্ধোধনী কাজ থমকে রয়েছে।ডিপো চালু হলে গোটা চাঁচল এলাকার মানুষের সুবিধা হবে।দ্রুত ডিপো চালু হোক সেই দাবিতে আজ বিক্ষোভ ও ডিপো ইনচার্জ ও মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আকারে কর্ণগোচরে তুলে ধরলাম।

যদিও ডিপো স্থানান্তরন নিয়ে শূরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা।কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা (বিজেপি) সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন, আমরা শুনেছিলাম একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উদ্ধোধন কলিগ্রামের এনবিএসটিসি বাস ডিপো।কিন্তু তখন হলোনা কারন,সেই মুহুর্তে নির্বাচন।উদ্ধোধন হলে নাকি ওখানে তৃণমূলের ভোট কমে যাবে।তাই রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকারের আজও থমকে রয়েছে উদ্ধোধনী কাজ।

বিজেপি নেতার এই মনগড়া দাবিকে কটাক্ষ করেছেন চাঁচল ডিপো আই এন টি টি ইউ সি’র সম্পাদক গোলাম রসুল।তিনি বলেন,কলিগ্রাম কে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ চলেনা।লকডাউনের পর থেকেই বিপর্যস্ত জনজীবন।তাই সময়মতো উদ্ধোধন হয়নি।ডিপো যখন নির্মান হয়েছে তা চালুও হবে।তবে সেটা কবে চালু হবে তা আমাদের অজানা।যদিও বিষয়টি নিয়ে চাঁচলের ডিপো ইনচার্জ জগেশ চন্দ্র বর্মন এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলূপ এটেছেন।সংবাদ মাধ‍্যমের ক‍্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন,দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে একটি লিখিত পেলাম।বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের তুলে ধরা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *