সরুগাঁও চা বাগানে ডুডুয়া ও কলি নদীর ভাঙনে ধানক্ষেত
ক্ষীরোদা রায়, ফালাকাটাঃ দুটি নদীর ভাঙ্গনে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে আবাদি জমি সহ গাছ বাগান। নদী ভাঙনের ফলে ক্ষতির মুখে ফালাকাটা ব্লকের ধনিরামপুর দুই নং অঞ্চলের ১৩/৩২ ও ৩৩নং পার্টে সরুগাঁও চা বাগানের হাটখোলা ও নেপালি লাইনের বাসিন্দারা। বাগানের ঐ দুটি এলাকায় ডুডুয়া ও কলি নদীর ভাঙ্গনে কৃষিজমি, গাছ বাগান ও বাঁশঝাড় নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে চা বাগানের নেপালি লাইনের প্রায় ৩৫ বিঘা জমির ধানক্ষেত নদীর ভাঙ্গনের মুখে। ইতিমধ্যে কয়েক বিঘা ধানের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বাগানের হাটখোলা লাইনে গাছ বাগান বাঁশঝাড় ও চাষের জমি কলি নদীর ভাঙ্গনের মুখে।
বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পীযূষ সিনহা ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এলাকা সরেজমিন খতিয়ে দেখতে আসেন।
নেপালি লাইনের বাসিন্দা অনুপ প্রধান, নেপালি লাইনের প্রায় ৩৫ বিঘা ধানের জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে। তবে এর মধ্যে প্রায় ২০ বিঘা জমি ডুডুয়া নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। এলাকায় প্রায় ৪০টি পরিবার ক্ষতির মুখে। এলাকার বাসিন্দা শ্যাম ঠাকুর বলেছেন, নির্বাহি বাস্তুকার ও জেলা পরিষদের সদস্যা তনুশ্রী রায়ের প্রতিনিধি তাপস রায় এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে জেলা পরিষদ সদস্যা এখানকার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। আশা করি এখানে নদী ভাঙন রোধে খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
ঐ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সাবির ওড়াওঁ বলেন, ইতিপূর্বে আমরা ব্লকের বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে নদীবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। তখন কাজ শুরু হয়নি। আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যা তনুশ্রী রায় এলাকায় পাঁকা রাস্তা, সেতু তৈরির কাজ করেছেন, আমরা নদী ভাঙনের কথা তাঁকে জানাই। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আজকে নির্বাহি বাস্তুকার ও তনুশ্রী রায়ের প্রতিনিধি তথা তার স্বামী তাপস রায় এলাকা পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সদস্যা তনুশ্রী রায় বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। নির্বাহি বাস্তুকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ক্ষতিয়ে দেখতে আসেন। আমি জেলার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে এর আগেও জানিয়েছি, আবার জানাবো, যাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে খুব দ্রুত কাজ করা যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য। আলিপুরদুয়ার জেলার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং সেই কাজগুলো নিয়ে প্রস্তাব তৈরি রাখা হবে, তবে আর্থিক সঙ্কুলানের কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।