সাহেবগঞ্জ সচিদানন্দ সীমান্তে আটক ৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে দিনহাটা কোর্টে পাঠালেন সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ
রাহুল দেব বর্মন,সাহেবগঞ্জ –
সাহেবগঞ্জ সচিদানন্দ সীমান্তে আটক ৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে দিনহাটা কোর্টে পাঠালেন সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ সাহেবগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ভ্যানে সংশ্লিষ্ট মামলার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার হওয়া উক্ত ৭জন বাংলাদেশী নাগরিককে দিনহাটা কোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।
প্রসঙ্গত গত রবিবার ৪ঠা জুলাই সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ দিনহাটা ২নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জ সচিদানন্দ গ্রামের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি এলাকায় ভারত পেরিয়ে বাংলাদেশ পারাপার করার সময় বিএসএফ এর ১২৯ নম্বর ব্যাটালিয়ন জওয়ানদের কাছে ধরা পড়েন তারা। এরপর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন পুরুষ,৩ জন মহিলা এবং ২ জন শিশু সহ মোট ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশী নাগরিকদের নামগুলি হল মহম্মদ সিরাজুল(৫০), মুসামাদ সিফারি (৪৫), মুসামাদ হাবিবর(১৮), মহম্মদ নূরনবী (২৩), মুসামাদ সালিমা(১৮), মহম্মদ সাকিবুল(৭), মুসামাদ নুরনাহার(৫) ।
বিএসএফ আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান তাদের বাড়ি বাংলাদেশ ছিটমহাল এলাকার রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম উপ জেলার ফুলবাড়ী থানা এলাকায়।
কর্মসূত্রে তারা বহুদিন থেকে হরিয়ানাতে ইট ভাটাতে কাজ করতেন। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের সময় তারা হরিয়ানাতে কর্মরত থানার ভারত কিংবা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সঠিক ভাবে পাননি। তাই বর্তমান সময়েও তারা বাংলাদেশ ছিটমহল এলাকার বাসিন্দা। গত ৩০ শে জুন তারিখে হরিয়ানা থেকে ট্রেনে চেপে গত ২ রা জুলাই তারিখ নিউ কোচবিহার রেলস্টেশনে নেমে খারুভাজ হয়ে সাহেবগঞ্জ সচিদানন্দন সীমান্ত গ্রামের আমিনুল মন্ডলের বাড়িতে সেদিন রাত ৯ টা নাগাদ পৌঁছান এবং ওই ব্যক্তির বাড়িতে রাত্রিবাস করেন। গত ৪ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিট নাগাদ সচিদানন্দন ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পারাপার হতে গিয়ে বিএসএফের ১২৯নম্বর ব্যাটালিয়ন জওয়ানদের হাতে ধরা পড়েন,এরপর গতকাল সন্ধ্যায় সাহেবগঞ্জ থানায় উপযুক্ত মামলা দায়ের করে বিএসএফের তরফে সাহেবগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে উক্ত গ্রেফতার হওয়া ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে দিনহাটা আদালতে হাজির করবার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়েছে।
সাহেবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অ্যান্টনি হোরো জানিয়েছেন আজ ওই নাগরিকদের আদালতে হাজির করার পর জেলে পাঠানো হবে।