হলদিবাড়িতে পানীয় জলের অপচয়
বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি;-দিনে দিনে কমে আসছে ব্যবহার যোগ্য জলের স্তর ।বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রায় গোটা দেশে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেখা দিতে পারে পানীয় জলের তীব্র সংকট।জল অপচয় রোধে হাজারো প্রচার সত্বেও টনক পড়েনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের।হলদিবাড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখলেই জল অপচয়ের বিষয়টি জলের মতো পরিস্কার হবে।দিনে তিনবেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলধার থেকে জল ছাড়া হলেই ট্যাপকল গুলো দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অঝোরে বেরিয়ে যাচ্ছে। পরিস্রুত পানীয় জল।বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলদিবাড়ি পুর এলাকার বাসিন্দারা।
হলদিবাড়ি পুর এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পশ্চিম পাড়া ও পূর্ব পাড়ায়।দুটি সুউচ্চ জলধার নির্মাণ করা হয়।এই দুই জলধারের মাধ্যমে শহরের ১১টি ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়।জল যাতে অপচয় না হয়,তার জন্য স্ট্যান্ডপোস্ট গুলির মূখ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্টপকক।কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই দেখা যায় কোনও স্ট্যান্ডপোস্টের মূখেই স্টপকক লাগানো নেই।কিছু দিন আগেও হলদিবাড়ি সায়েন্স অ্যান্ড কালচারাল অগানাইজেশনের উদ্যোগে শহর এলাকার স্ট্যান্ডপোস্ট গুলির মূখে স্টপকক লাগানো হয়।কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই সেগুলোর অধিকাংশই উধাও হয়ে যায়।ফলে যখনই জল ছাড়া শুরু হয়, তখনই কলের খোলা মূখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকে জল।আর এভাবেই প্রতিদিন অপচয় হচ্ছে লক্ষ লক্ষ লিটার পরিস্রুত পানীয় জল।
এবিষয়ে কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির হলদিবাড়ি শাখার সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, যেভাবে নিত্যদিন সুউচ্চ জলধারের স্ট্যান্ডপোস্ট থেকে জল অপচয় হচ্ছে তাতে একসময় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর পানীয় জলের উৎস নিঃশেষ হওয়ার একটা অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে।হলদিবাড়ি সায়েন্স অ্যান্ড কালচারাল অগানাইজেশনের সম্পাদক কৌশিক নিয়োগী বলেন, এভাবে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লিটার পরিস্রুত পানীয় জলের অপচয়ে আমরা ব্যথিত।তাই বেশ কয়েকবার শহরের স্ট্যান্ডপোস্টের মূখে স্টপকক লাগানো হয়।
হলদিবাড়ি পুর প্ররসভার প্রশাসক সঞ্জয় পন্ডিত বলেন, পানীয় জল অপচয় রোধে মাঝে মধ্যেই শহরের প্রতিটি স্ট্যান্ডপোস্টের মূখে স্টপকক লাগানো হয়।জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, স্টপকক লাগানো হলেও তা থাকছে না।স্টপকক ভাঙ্গার পাশাপাশি অনেকেই কলের মূখ খোলা অবস্থায় রেখে চলে যাচ্ছেন।মানুষ নিজে সচেতন না হলে পানীয় জল রোধ সম্ভব নয়।