২৫ বছর ১০ মাস ১৮ দিন বয়সী মৃত্যু হল রাজা নামে বাঘের, তার মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ডুয়ার্স।
১১ জুলাই, জলদাপাড়া: পৃথীবির প্রবীণতম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রাজার জীবন দীপ নিভে গেলো। সোমবার জলদাপাড়া বনবিভাগের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুণর্বাসন কেন্দ্রে রাজার মৃত্যু হয়। সুন্দরবন থেকে রাজাকে নিয়ে আসা হয় জলদাপাড়ায়। ২০০৬ সালে মাতলা নদী পেরোতে গিয়ে রাজার বাঁ পা খুবলে নিয়েছিল কুমীর। ওই পা হারানো বাঘকে সুস্থ করে তুলতে ২০০৬ সালে নিয়ে আসা হয় খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুণর্বাসন কেন্দ্রে। অসুস্থ বাঘটিকে সুস্থ করে তোলে বনদপ্তরের চিকিৎসক ও বনকর্মীরা। পা হারানো বাঘটিকে সুস্থ করে বন্য পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে চাননি বনকর্মীরা। তারপর থেকে রাজা রয়ে যান খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুণর্বাসন কেন্দ্রে। যৌবনের একটা কাল থেকে আমৃত্যু রাজা খয়েরবাড়ির প্রকৃতিকে একাত্ম করে নেয়। কিন্তু সোমবার সকালে ২৫ বছর ১০ মাস ১৮ দিন বয়সে রাজার প্রাণ স্পন্দন থেমে যায়। বাঘটির মৃত্যুতে ব্যাঘ্র শূণ্য হয়ে গেল খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুণর্বাসন কেন্দ্র।
যে বনকর্মীরা এতদিন রাজা বাবুকে আদর যত্ন করে লালিত করেছেন তাঁরাও খুবই মর্মাহত। শোক প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁদের চোখের কোনে জল চিকচিক করছে। বন দপ্তরের কর্মী মহম্মদ মতিনা বলেন, “ওনার মৃত্যুতে খুব খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন এখানে ছিল, আমরা ওঁর কাছে যেতাম, একটা পা নেই, দেখে খারাপ লাগতো। ওঁর মৃত্যুতে খুবই খারাপ লাগছে।” খয়েরবাড়িতে বাঘ দেখতে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকতো। তাতে দু পয়সা আয় হতো স্থানীয়দের। বাসিন্দা হরি বিশ্বাস শর্মা বলেন, “খারাপ লাগছে। বাঘ দেখতে পর্যটকেরা আসত আমরাও রোজগার করতাম।”