৭৭ বছর বয়সে চুপিসারে বিয়ে সেরে নিলেন লক্ষ্মণ শেঠ
নিজস্ব প্রতিনিধি, হলদিয়া : বুড়ো বয়সে এসে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বা ডিগ্গি রাজা। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৭৭ বছর পার করে দ্বিতীয়বার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন রাজ্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা এক সময়ের হলদিয়ার বেতাজ বাদশা লক্ষ্মণ শেঠ। পাত্রী কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত। মঙ্গলবার নিজের দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন হলদিয়ার এক সময়ের মুকুটহীন সম্রাট। তবে ৭৭ বছর পার করার পরে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য মোটেও লজ্জিত নন রাজ্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘একাকিত্ব কাটাতেই নতুন করে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনও অন্যায় করিনি।’সাত বছর আগেই প্রথম স্ত্রী তথা মহিষাদলের প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডা শেঠকে হারিয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। প্রথম সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই একাকিত্বে ভুগতে শুরু করেছিলেন। ক্রমশই গ্রাস করে নিয়েছিল নিঃসঙ্গতা। সংসার, সন্তানদের পাশাপাশি ব্যবসা, রাজনীতি সামলাতে গিয়ে খেই পাচ্ছিলেন না। কয়েক মাস আগেই এক বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয় নামী পাঁচ তারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত এক আধিকারিকের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন দুজনে। কয়েকদিনের আলাপেই ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্রের খবর, লক্ষ্মণের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান অনেকটাই। পাত্রীর বয়স ৪২। কিন্তু জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করার ক্ষেত্রে সেই বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি।দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও স্ত্রীর পরিচয় ও ছবি এখনও প্রকাশ্যে আনেননি রাজ্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি। এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিয়ে করার সুখবর জানিয়ে দাপুটে নেতা বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই প্রবল একাকিত্বে ভুগছিলাম। সেই কারণেই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ দ্বিতীয় বিয়ের গল্প নিয়ে আপাতত গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান হলদিয়ার এক সময়ের মুকুটহীন সম্রাট।