দিনরাত জানালা খুলতে ভয় পান ধূপগুড়ির মুক্তাবুল-দিদার দুই ভাই
ক্ষীরোদা রায়, ধূপগুড়ি: দিন কিংবা রাত, জানালা খুলতেই ভয় পান বারহালিয়ার মুক্তাবুল আলম ও দিদার আলম। ধূপগুড়ির গাদং ২ অঞ্চলের ঝাড় শালবাড়ি গ্রামে বাড়ি মুক্তাবুল ও দিদার নামের দুই ভাইয়ের। বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দুই ভাই, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এই তাদের সংসার। কিন্তু দুই ভাই জানালা দিন দুপুরে হোক কিংবা রাত জানালা খুলতেই ভয় পান। জানালা খুললেই মৌমাছির বড়ো বড়ো চারখানা চাক রয়েছে যে! জানালার সানসেটে মৌমাছির বড়ো বড়ো চারখানা চাক দেখে পাড়া প্রতিবেশী এমনকি পথ চলতি মানুষ ভেবেচিন্তে পথ চলেন। এমনকি তাদের বাড়িতে আসতেও ভয় পান। তবে এ পর্যন্ত কেউ মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়েননি জানালেন মুক্তাবুলের জামাইবাবু মসলেম হক। প্রায় মাস খানেক আগে মাত্র একটি মৌমাছি আসে তাদের বাড়িতে, তারপর দলে দলে মধুমক্ষিকার দল এসে যে বাসা বুনবে ধারণাই করতে পারেননি মুক্তাবুল ও দিদার। মুক্তাবুল বলেন, “মাস খানেক আগে একে একে পাঁচ খানা চাক তৈরি করে মধু করের দল। এর মধ্যে একদল চলে যায়। এখন পাঁচ খানা চাক রয়েছে ঘরের সানসেটে।”যাতায়াতের পথের ধারে পাকা করা ঘর। ঘরের ওপর টিনের ছাউনি। তার নিচে জানালার সানসেট। দুই দিকে চার খানা সানসেটে মধুকরেরা চাক বুনেছে। তবে এখনও মধু হয়নি চাকে। দিদার আলম বলেন, “আমরা একমাস ধরে ঘরের জানালা খুলছি না, জানিনা আরও কতদিন খুলতে পারব না, রাতে ইলেকট্রিকের আলো পেলে ঘরে প্রবেশ করে মৌমাছি।” প্রতিবেশী যুবক দ্বিজেন রায় বলেন, “মৌমাছির চাক যেখানে এখন দেখতে পাওয়া যায়না, সেখানে চারখানা চাক থাকা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।”