ধূপগুড়িতে জোড়া বাইসন দেখতে ভিড়, ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু বাইসন
Posted by: Kshiroda Roy
জগদা রায়, ধূপগুড়ি: ভোরে গবাদি পশু মাঠে বাঁধতে গিয়ে চারটি বাইসন দেখতে পান গ্রামবাসীরা। মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বাইসন বেরনোর খবর। বাইসন দেখতে ভিড় জমে যায় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুর্শামারি ও বগরিবাড়ি এলাকায়। এরমধ্যে দুইটি বাইসন জঙ্গলে ফিরে গেলেও দুটি বাইসন লোকালয়ে থেকে যায়। দুটি বাইসন ঐ এলাকাগুলিতে ঘুরতে থাকে। এর মধ্যে একটি বাইসন একটি গাছ বাগানে প্রবেশ করে। সেখান থেকে বাইসনটি পোলট্রি ফার্মের ভিতর ঢুকে। তারপর এক গৃহস্থের বাড়ির নলকূপের পারে বাইসনটি আশ্রয় নেয়। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ঘর বন্দী হয়ে থাকতে হয় সেই বাড়ির সদস্যদের। এদিকে বাইসন বেরনোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইসন দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি দূর থেকেও লোকজন ছুটে আসেন। মানুষের ভিড় বাড়তে থাকায় ছোটাছুটি করতে থাকে দুটি বাইসন। বাইসনের তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে সামান্য চোট পান বেশ কয়েকজন। বাইসনের তাড়ায় ভেঙে যায় একটি মোটর বাইক। অপরদিকে অন্য বাইসনটি বগড়িবাড়ি এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা। দুপুর পর্যন্ত সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। তবে প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করায় কিছুটা সমস্যা। দশটা নাগাদ একটি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছে। অপর বাইসনটির পায়ে লেগেছে। দুপুরের পর অপর বাইহনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে আটক করা হয়। পাশ্ববর্তী রমশাই জঙ্গল থেকেই বাইসন দুটি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বন দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে ক্রেন না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় হাত দিয়ে ট্রলিতে তোলা হয় দুটি বাইসনকে। মনোতোষ রায় বলেন, “মোট চারটি বাইসন ঢুকেছে, এর মধ্যে একটি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছে সকাল দশটায়, সেটিকে জঙ্গলে নিয়ে যান বনকর্মীরা।” বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, গধেয়ারকুঠি এলাকায় চারটি বাইসন প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী রামসাই জঙ্গল থেকে। দুটি বাইসনকে উদ্ধার করে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।