ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে ধূপগুড়িতে পথ অবরোধ কলেজ পড়ুয়াদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: সেমিস্টারে ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে পথ অবরোধ করলো ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়কের উপর বসে পথ অবরোধ করেন ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধে আটকে পড়ে যাত্রীবাহী বাস সহ অন্যান্য যানবাহন।
জানা গিয়েছে, গত 12 তারিখ কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি ফি কমানোর জন্য ডেপুটেশন দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ডেপুটেশন পাবার পরেও ভর্তি ফি কমানো নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ নীলাংশু শেখর দাস কলেজের এক ছাত্র প্রতিনিধিকে ঐ সময় জানিয়েছিলেন যে, ভর্তি ফি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আগামী তিরিশ তারিখ আলোচনায় বসবেন। তবে অধ্যক্ষের সেই প্রস্তাবে রাজি হননি ছাত্রছাত্রীরা। উল্লেখ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানায় যে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের অনলাইনে ভর্তি হবার শেষ তারিখ পঁচিশে এপ্রিল। পঁচিশে এপ্রিল অনলাইনে ভর্তির তারিখ শেষ হবার পর ভর্তি ফি নিয়ে আলোচনার জন্য তারিখ নির্ধারিত করার কারণে ছাত্রছাত্রীদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা কলেজের সামনে জাতীয় সড়কের ওপর বসে আন্দোলন শুরু করে। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার আইসি সঞ্জয় দুঙ্গার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের আলোচনায় বসানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ছাত্রী অনুরাধা রায় বলেন, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি কলেজে যেখানে পাঁচশো থেকে সাড়ে পাঁচশো টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে সেখানে আমরা কেন সতেরোশো সত্তর টাকা দেব? অনুরাধা আরও বলেন, করোনার কারণে লকডাউনে ঘরে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে, আমরা না ব্যবহার করছি কলেজের লাইব্রেরী, না ইলেকট্রিক। তাহলে কেন তার ফি দিতে হবে, প্রশ্ন তার। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে অধিকাংশ কলেজ সেমইস্টারের ভর্তি ফি কমালেও ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে এই নিয়ে পূর্বেও ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেন। এদিনের আন্দোন সম্পর্কে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধূপগুড়ি ব্লক সভাপতি কৌশিক রায় বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী তিরিশ তারিখ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভর্তি ফি নিয়ে বসে আলোচনায় বসা হবে। কোন কোন বিষয়ে ফি কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে কৌশিক জানান। কলেজ বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ নীলাংশু শেখর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।