দাম থাকলেও চাহিদা তুঙ্গে নদীয়ালি মাছের
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোজন রসিক বাঙালী করোনার আবহে আকাশ ছোঁয়া দামে কিনছে অলিখিত উত্তরবঙ্গের মাছের রাজা তথা মানসাই ,জলঢাকা নদীর রূপোলি শষ্য বোরোলি মাছ।উত্তরবঙ্গের এই অলিখিত মাছের রাজাকে নিয়ে বাঙালীর স্বাদ ও আহ্লাদ দুটোই বেশ উঁচু তারে বাঁধা। রাজ পরিবারের অন্দর থেকে আম আদমির হেঁসেল বা রাজনীতিবিদদের রসোনায় সর্বত্রই রয়েছে বোরোলির কদর। রূপো গলে গেলে যেমনটি হয় । ঠিক তেমনই গায়ের রং । আর স্বাদ ? ইলিশের পর উত্তরের বোরোলির ভাগ্যে জুটেছে রাজ কদর । মহারাণি ইন্দিরাদেবী , প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও মজেছেন এই বোরোলির স্বাদে। সম্প্রতি বিহার ও উত্তর প্রদেশের নদীতে বহু লাশ ভাসতে দেখা গিয়েছে । অনেকেরই সন্দেহ , এই মৃতদেহগুলি করোনা সংক্রমনিতদের । আর তার পরেই চালানি মাছ নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু করেছে,ফলে মাছ ব্যবসায় খানিকটা মন্দা দেখা দিয়েছে বলে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান। জনৈক মাছ বিক্রেতা স্বপন রায় ,বনন্দি বর্মন, সোনাবাঁশি কৃতনিয়ারা বলেন , অনেকেই গুজবে আতঙ্কিত হয়ে ভিন রাজ্যের মাছ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন । ফলে স্থানীয় নদীয়ালি ছোটো মাছের চাহিদা তুঙ্গে । আর সেই সুযোগেই মানসাই ,জলঢাকা, তোর্ষার বোরোলি সহ বিভিন্ন নদীয়ালি মাছের দাম চড়ছে বলে ক্রেতারা জানান । বুধবার দেওয়ানবস, ৫নম্বর সহ মাথাভাঙ্গা মাছ বাজারে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিলো বোরোলি মাছ । যদিও চড়া দামে সেই মাছ কিনতে হাত পুড়েছে ভোজন রসিক বাঙালীর। ৫নম্বর মাছ বাজারে ক্রেতা বিকাশ রায় ,কৃত্তিবাস মন্ডল, শ্যামল বর্মনরা জানান স্বাদে ও গুনে সেরা উত্তরবঙ্গের অলিখিত মাছের রাজা বোরোলি মাছ, ইলিশ পরে স্থান দেওয়াই যেতে পারে। বর্তমানে ৬০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ,বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায়, একটু দেরি করে মাছ বাজারে এলে আর দেখা মিলছেনা এই নদীয়ালি বোরোলি মাছের ।