ভাইয়ের হাতে দাদার হত্যা, জখম বৌদি
ক্ষীরোদা রায়, ফালাকাটা: দিনদুপুরে ঘরের ভেতর দাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল ভাই, ঘটনাস্থল থেকে পলাতক ভাই। দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম বৌদি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের গুয়াবরনগর অঞ্চলের মালসাগাঁও গ্রামে। মৃতের নাম মনোরঞ্জন মন্ডল(৩৮)। অভিযুক্ত ভাই চন্দন মন্ডল পলাতক। ঘরের ভেতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও ধারালো অস্ত্রের সন্ধান পায়নি ফালাকাটা পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ।
পুলিশ ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় দশটা নাগাদ চন্দন ও মনোরঞ্জনের বাড়িতে কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান বিছানার ওপর পড়ে থাকা মনোরঞ্জন মণ্ডলের গলায় ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদা মনোরঞ্জন মন্ডলের। সেই সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে দেবরের ধারালো অস্ত্রের কোপ পরে গৃহবধূ রেখা মন্ডলের উপর। গুরুতর জখম রেখা মন্ডলকে প্রতিবেশীরা তৎক্ষণাত ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে দাদাকে হত্যা করার পর ভাই চন্দন মন্ডল এলাকা থেকে পালিয়ে যান। দিন দুপুরে খুনের ঘটনা ঘটায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালসাগাঁও কলি নদীর পাড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ফালাকাটা থানার আইসি সনাতন সিংহ বলেন, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই মনোরঞ্জনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে। অভিযুক্ত চন্দন মন্ডল পলাতক। ঐ পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। খুনের কাজে ব্যাবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা যায়নি। অভিযোগ পেলে একটি খুনের মামলা দায়ের করা হবে। মৃতের স্ত্রী রেখা মন্ডলকে ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।