বিশ্ব গবেষকদের রাঙ্কিং এ জায়গা করে নিলেন জামালদহের ছেলে সুভাষ বর্মন

বিজয় চন্দ্র বর্মন, জামালদহ, ৯ জুলাইঃ প্রতি বছরের মত এবছরও বিশ্বের ১৮৬ টি দেশের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের বিগত ৫ বছরের গবেষণার উপর ভিত্তি করেই এ ডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২১ এর তালিকা প্রকাশ করা হয়। মূলতঃ গবেষকদের প্রকাশিত মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা এবং বিশ্বের অন্যান্য গবেষকরা তাদের গবেষনায় সেই গবেষণা পত্রগুলি কতবার উল্লেখ করেছেন তার উপর ভিত্তি করে। আর এই হিসাব গবেষকদের গুগোল স্কোলার প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ করা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ড. সুভাষ বর্মন জলপাইগুড়ি ইন্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপনার সাথে গবেষণায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। ইতিমধ্যে তিনি ২৫ টিরও বেশি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে। কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান ড. বর্মন বিশ্ব বিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয় রার্ঙ্কিং ২০২১ এর তালিকায় দেশের সমস্ত বিষয়ের নিরিখে ২২৭৬৯ নম্বরে এবং কলেজে প্রথম তিন জনের মধ্যে আছেন। তিনি তাঁর এই সাফল্যের জন্য তার পিএইচডি সুপারভাইজার আই আই টি খরগপুরের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ সামন্ত ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সমীরণ চট্টোপাধ্যায় এবং তার সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও সহকারী গবেষকদের কৃতিত্ব দিয়েছেন।
স্কুল জীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবি সুভাষ বর্মন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশুনো করেন। প্রথমে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজে ও পরে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দেন। বর্তমানে সেখানেই তিনি কর্মরত।অধ্যাপনার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষনার করে তিনি ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন।


তার বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহে। বাবা হরেকৃষ্ণ বর্মন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। মা দীনেশ্বরী বর্মন একজন সাধারন গৃহবধূ।বড়দাদা প্রকাশ বর্মন ব্যাবসায়ী ও ছোটো ভাই নিবাস বর্মন স্থানীয় হাইস্কুলে শিক্ষকতার কাজ করেন। অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ড. সুভাষ বর্মনের এই সাফল্যে গর্বিত সমস্ত জামালদহ বাসী। সুভাষ বাবু জানান, আগামি দিনে তার লক্ষ্য গবেষনার কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আরও বেশি করে গবেষনার কাজ চালিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *