দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্যের

সঞ্জয় কুমার বর্মন, মাথাভাঙ্গা: এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছায়া মাথাভাঙা-১ নং ব্লকের হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। এনিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিডিওর কাছে প্রধানকে সরানোর জন্য আস্থাভোট করার দাবি জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিডিও অফিস সুত্রে জানা গেছে, অনাস্থা প্রস্তাবের একটি দাবিপত্র জমা পড়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১১ জন। সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য। বেশকিছুদিন ধরে একাংশ পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে প্রধানের দুরত্ব চলছিল বলে সূত্রের খবর। সরকারি প্রকল্পের ব্যাপারে পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানানো সহ নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল প্রধানের বিরুদ্ধে। এদিন ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব পেশ করে বিডিওর কাছে। বিডিও তা গ্রহনও করেছেন। অনাস্থাপ্রস্তাবের কথা ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কর্মীরা কে কোন শিবিরে তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় সেকারনে এলাকায় পুলিশি নজরদারিও বেড়েছে । এব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতে আমাদের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে এটা শুনেছি। এব্যাপারে বিস্তারিত খোজখবর নিয়ে দেখছি। হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান শেফালি বর্মন বলেন, গ্রামপঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ ও প্রশাসনিক ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হতো বোর্ড মিটিংয়ে। আমার বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেন আমার বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছে তাও জানিনা। আমি সমস্ত বিষয় দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। যদিও অনাস্থাপ্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী পঞ্চায়েত সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, প্রধান স্বেচ্ছাচারি মনোভাব নিয়ে গ্রামপঞ্চায়েতের কাজকর্ম করতো। একই সঙ্গে নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে নির্মান কাজ সহ সমস্ত কাজ করাতো। কাজের মান নিয়ে আমরা একাধিকবার জানিয়েছে, কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়নি প্রধান। আমরা অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছি, যা হবে আইন মেনেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *