নালায় পড়ে হস্তি শাবক, উদ্ধারের পর ফিরিয়ে দেওয়া হল মায়ের কাছে
নিজস্ব সংবাদদাতা, বানারহাটঃ নালায় আটকে পড়লো হস্তিশাবক। সাতসকালেই হস্তিশাবককে দেখে চাঞ্চল্য এলাকায়। শাবকটিকে উদ্ধারের পর কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় ফিরিয়ে দেওয়া হলো দলে। ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ঘটনা।
এদিন সকালে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বেশ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় হস্তি শাবককে নালা থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে আসেন বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জার শুভাশীষ রায়, জলপাইগুড়ি অনারারি ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী। বনকর্মীদের অনুমান কারবালা চা বাগানের পাশেই রেতী জঙ্গল, সম্ভবত সেই জঙ্গল থেকেই হাতির দলের সাথে শাবকটি চা বাগানে চলে এসেছিলো। রাতে কোনোভাবে বাগানের ডিভিশন লাইনে চা বাগানের নালায় কোনোভাবে পরে যায় শাবকটি। সেখানে আটকে যায় হস্তি শাবকটি।
এবিষয়ে অনারারি ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন,” গতকাল রেতির জঙ্গল থেকে ২০ – ২৫ টি হাতি বেড়িয়ে আসে। তখন হয়তো এই শাবক হাতিটি নালায় পরে যায়। সকালেই বনদপ্তরের কর্মীরা এসে শাবকটিকে উদ্ধার করে। এবং এখন শাবকটিকে সেই দলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।”
হস্তিশাবকটিকে উদ্ধারের পর সেটিকে হাতির দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় বনদপ্তর। তিন ঘন্টার প্রচেষ্টার পর হস্তি শাবককে দলে ফেরাতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। উল্লেখ্য, বনকর্মীদের কাছে সকাল ৬টা নাগাদ খবর আসে নালার মধ্যে একটি হস্তিশাবক দলছুট হয়ে আটকে পড়ে এবং সেখানেই কাতরাতে থাকে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মী এবং অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী। তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর নালা থেকে সেই শাবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রেতি জঙ্গলের কাছে, যেখানে ওই দল হাতির শাবকের অপেক্ষা করছিল। শাবকটিকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামানোর আগের মূহুর্তে শাবক হাতির চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে মা হাতি। রীতিমতো বিপদের মুখে পড়ে যায় বনকর্মীরা। সাথে সাথে জাল থেকে শাবককে মুক্ত করতেই মা হাতির দিকে ছুটে যায় সেই হস্তি শাবক। হস্তি শাবককে দলে ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি বনকর্মী থেকে পরিবেশ প্রেমীরা।
উল্লেখ্য যে, ডুয়ার্সের চা বাগানে মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে হাতির দলের। গতকাল রাতেও রেতির জঙ্গল থেকে কারবালা চা বাগানে চলে আসে হাতির দল। সেসময় হয়তো একটি হস্তিশাবক কোনোভাবে নালায় পড়ে যায়। এরপর এদিন সকালে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা এসে হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করেছেন। এরপর শাবকটিকে দলে ফিরিয়ে খুশি বনদপ্তরের কর্মীরা।