বছরের ছয়মাস জলে ডুবে থাকে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল মাঠ, দাবি মাটি ভরাটের
চাঁচল; ০১ সেপ্টেম্বর:
বছরের ছয়মাস জলে থৈথৈ করে খেলার মাঠ।আর বৃষ্টি হলেই খেলার মাঠে হাঁটুজল।দেখলে মনে হয় এ যেন জলাশয়।সামান্য বৃষ্টি হলেই এই চিত্র দেখা যায় মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল মাঠ।
খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য এই বিশাল মাঠটি কলিগ্রাম হাইস্কুলের। কলিগ্রাম অঞ্চলের প্রায় দশটি গ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ এটি।এলাকার সব অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এ মাঠেই হয়ে থাকে।এ ছাড়াও এলাকার শিশু-কিশোর, স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখানে খেলাধুলা করে থাকে। নিয়মিত খেলতে না পারায় হতাশ বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও এলাকার খেলোয়াড়রা।
এদিকে করোনার কারণে অনেকেই মাঠে খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে।ডায়াবেটিকস রোগীরাও সকাল-বিকাল এখানে হাঁটাহাঁটি করেন।
বৃষ্টি হলেই গুরুত্বপূর্ণ এ মাঠে পানীবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।যার ফলে বছরের অর্ধেক সময় জলে আটকে থাকে মাঠে।মাঠের পূর্ব প্রান্তে এই চিত্র নিত্যদিনের।পাশে হাইড্রেন করা হলেও মাঠটি নীচে অবস্থান করেছে।ফলে জল নিস্কাশন হয় বলে মনে করছে এলাকাবাসী।রাস্তা থেকে প্রায় দুই ফিট নীচে মাঠটি রয়েছে। নূরআলম সহ কতিপয় বাসিন্দার দাবি,মাঠটিতে আগে অনেকে সময় কাটিয়েছি।এখন আর সেই সুযোগ মিলছে না।জল জমে মাঠ এখন ডোবাকার।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,মাঠি যেন পূর্বমতো ফিরিয়ে আনে।
এছাড়া মাঠের পূর্ব প্রান্তে মাটি ভরাট করে রাস্তা বরাবর করলে মাঠের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে ও জল নিস্কাশের সমস্যা হবেনা।প্রশাসন নজর দিক বলে এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছে।
বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে মাঠটির সৌন্দর্য্যায়নের জন্য বলে জানিয়েছে কলিগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রায়।প্রশাসন নজর দিলে মাঠের সৌন্দর্য্য হবে ও এলাকার কিশোর কিশোরী দের খেলাধূলা ও নানান সামাজিক কাজে সূবিধা হবে।মাটি ভরাট করলে জল জমবে না।মাঠটি রাস্তা বরাবর করলে প্রচুর মাটি লাগবে তাই পঞ্চায়েতের পক্ষে অসম্ভব বলে স্বীকার করেছে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খাঁন।বিধায়ক বা সাংসদের হাত দিয়ে এই কাজ সম্ভব।চাঁচল-১ নং ব্লকৈর বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন,বিষয়টি নজরে এসেছে।এমজিএনআরইজিস প্রকল্পে ফুটবল মাঠটিতে মাটি ভরাটের স্কীম ধরা যায় কিনা,দেখা হচ্ছে।
এককালীন কলিগ্রামের এই ফুটবল মাঠে দেশের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ও রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু পা রেখেছেন।তবে পরিকাঠামোর অভাবে সেই মাঠের শোচনীয় অবস্থা।আদৌ কি জলমুক্ত হবে এই মাঠ,মিলবে কি সৌন্দর্য্য?সেই অপেক্ষায় রইল এলাকাবাসী সহ খেলোয়াড়রা।