পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের রাস্তায় দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ খরবা অঞ্চলের বাসিন্দাদের
চাঁচল; ১০ সেপ্টেম্বরঃ
পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করা হয় রাস্তা।কিন্তু মাস ছয়েকের মধ্যেই রাস্তাটি পুনরায় বেহাল।ওই কাজে বেনিয়ম,দূর্ণীতি ও নিম্নমানের করায় রাস্তার এ পরিনতি।এমনটাই অভিযোগ তুলে প্রকল্পের ফলক নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।পাশাপাশি ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনকে লিখিতে ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।
মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা অঞ্চলের নৈকান্দা গ্রামের ঘটনা।অভিযোগ,আশাপুর থেকে নৈকান্দা প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল।এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের দাবিও জানিয়ে আসছিলেন।প্রায় ছয়মাস আগে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে ওই রাস্তার ৫৫০ মিটার অংশ ঢালাই করা হয়।যে অংশে কাজের ফলক লাগানো হয় সেখানেই রাস্তাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।অথচ সেখানেই কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।অভিযোগ,তিন দফায় কাজ হলেও তা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের।নদীর সাদা বালি ব্যবহার করা হয়েছে।বালি ও সিমেন্টে সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে রাস্তা ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হ য়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।রাস্তা কাজের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বেরিয়ে এসছে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দা আপতার হোসেনের অভিযোগ,রাজ্য সরকারের পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে আশাপুর থেকে নৈকান্দা প্রায় দুই কিমির মধ্যে বেহাল প্রায় ৫৫০ মিটার অংশ সংস্কার করা হয়।
করান্তু মাস ছয়েকের মাথায় রাস্তাটি ফের সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে সংস্কার করা রাস্তার সিংহভাগ অংশই কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়েছে।
রাস্তা সংস্কারের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠাই ক্ষুদ্ধ স্থানীয় তৃণমূল নেতাও।চাঁচল-১ ব্লক যুব তৃণমূল কমিটির সহ সভাপতি রাহানুল হক বলেন,রাজ্য সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র ছয়মাস আগে প্রায় একত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সংস্কার করা রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা ফলেই
রাস্তার অবস্থা পুরায় বেহাল হয়ে পড়েছে।
বাসিন্দারাও অভিযোগ তুলেছেন।কেন এমনটা হলো তা তদন্ত করে দেখা দরকার রয়েছে,তা প্রশাসনকেই করতে হবে।
এমনটা দাবি ওই তৃণমূল নেতার।
যদিও এব্যাপারে চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য বলেন,অভিযোগ পেয়েছি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগ প্রমানিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।