বনধের সমর্থনে নানা কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক, জলপাইগুড়ি: কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে শ্রম কোডের নামে শ্রমিক শোষন আরও তীব্র করার প্রতিবাদে, দেশের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বেঁচে দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে ধর্মঘট সফল করলেন বামপন্থী কৃষক ক্ষেতমজুর শ্রমিক কর্মচারীরা। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার বয়েলখানা বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজার বন্ধ ছিল। স্টেট ব্যাংক মেন ব্রাঞ্চ এলআইসি জলপাইগুড়ি ডিভিশন ও বিভিন্ন ব্রান্চ অফিস, শহরের বিভিন্ন ব্যাংক, জেলা দায়রা আদালত সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ হয়নি। জেলা দায়রা আদালতের মহিলা নেতৃত্বে সাথে প্রশাসন বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ জোর করে জর্জ ও আদালতের কর্মীদের ঢুকিয়ে দেন। এন বি এস টি সি বাস স্ট্যান্ডে সকাল থেকে দফায় দফায় অবরোধ করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। সিআইটিইউ নেতা কৃষ্ণ সেনের নেতৃত্বে সকাল থেকে দফায় দফায় অবরোধ চলে বাস দাড় করিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিক্ষিপ্ত দু’একটি ঘটনা ছাড়া গোটা জেলা জুড়ে বন্ধ সর্বাত্বক ধর্মঘটের চেহারা নেয়। ডেঙ্গুয়াঝার, কাদোবাড়িতে রেল অবরোধ করা হয়। জলপাইগুড়ি রোড রেল স্টেশনে মিছিল করে রাজধানী এক্সপ্রেস অবরোধ করা হয়
কৃষক নেতা তপন গাঙ্গুলী, শ্রমিক নেতা শুভাশিস সরকার, ছাত্র যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব শুভম ঠাকুর, সুরজ দাসের নেতৃত্বে। জলপাইগুড়ি শহরের শিরিষতলা এলাকায় একটি বেসরকারী গাড়ি কোম্পানির শোরুম খুলে কাজ করাতে যাওয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন কর্মীরা, বন্ধ করে দেওয়া হয় শোরুম গভরমেন্ট গার্লস স্কুলের মোড়ে ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দীনেশ শাহ র দোকান বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে বচশার সৃষ্টি হয় এসএফআই কর্মীদের ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল কর্মীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ সফল হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবায় বন্ধ সমর্থনকারীরা মিছিল করেন এবং ওই এলাকায় থাকা দুটি ব্যাংক বন্ধ করে দেন। জেলার মেটেলী ব্লকের ধুপঝোরা এলাকা থেকে পথ অবরোধ চলাকালীন শংকর বিশ্বাস গোপাল সাহু রুনু ওরাও সহ বহু কমরেডদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ প্রশাসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেটেলি থানায় তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে নেতৃবৃন্দ কথা বলতে চাইলে তাদের স্টেটমেন্ট করতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কৃষক নেতা রুনু ওরাও জানান তারা শান্তিপূর্ণভাবে বাতাবারি ফার্মগেটের মোরে রাস্তার উপর বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। পার্টি অফিসে বহু নেতৃবৃন্দ বসে ছিলেন পুলিশ এসে জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে তাদের সাথে বচসা বাধে জলপাইগুড়ি ও মালবাজারের দিক থেকে আসা স্টেট ট্রান্সপোর্ট এর ভাগগুলি কে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলে নেতৃত্ব তা মানতে চাননি। এরপর পুলিশ বলপূর্বক আমাদের গ্রেপ্তার করে থানায় বসিয়ে রেখেছে সংবাদমাধ্যমের সাথে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সমগ্র জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে চা বাগানে কিছু শ্রমিককে জোর করে কাজে নামানো হয়েছে তবে সামগ্রিকভাবে গোটা জলপাইগুড়ি জেলায় বন্ধ সর্বাত্মক সফল বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতা জিয়াউল আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *