উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্র মহাবিদ্যালয়, আটক পাঁচ

নিউজ ডেস্ক,ঘোকসাডাঙ্গা,৮ অক্টোবর :- কলেজে ক্ষমতায়নকে ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দরে অন্তর্কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। শুক্রবার সেই কোন্দল বিরাট আকার ধারন করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি উচিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাবি পুলিশের। কলেজ চত্বরে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট । কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানা যায়। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের কোন্দলের এই ঘটনা রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্র মারফত জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সভাপতি এবং সহ-সভাপতির মধ্যে অন্তর্কলহ চলছিল। গত ৪ ঠা অক্টোবর সেই কলহ প্রকাশ্যে আসে ব্লক সহ-সভাপতির দলের সঙ্গে ব্লক সভাপতির দলের ছেলেদের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং গুরুতর আহত হন একজন । এ বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয় ঘোকসাডাঙ্গা থানায় । কলেজ খুললে সহ-সভাপতি ওয়াহেদ হাসান তার দলবল নিয়ে এই বিষয়ে ঘোকসাডাঙ্গা কলেজে ডেপুটেশন দিতে জান বলে দাবি তার। অপরদিকে কোভিড পরিস্থিতির কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় অফিসের যাবতীয় কাজ কলেজ গেটের সামনে করা হচ্ছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ। তাই গেট খোলার অনুমতি তিনি দেননি । সেই সময় ওপর গোষ্ঠীর ছেলেরা কলেজগেটে হাজির হয় এবং এক উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর প্রায় জোর করেই কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে ছাত্র ছাত্রীরা বাধ্য হয়ে পুলিশের সহযোগিতা নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ দুই পক্ষকেই লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে এবং ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই কলেজে যদি কোনো গন্ডগোল হয়ে থাকে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্র মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ সহদেব রায় জানান, কলেজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে এ বিষয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। কলেজের মূল গেটের সামনে কে বা কারা গেট ভাঙার চেষ্টা করে এমনকি গেটের তালা ভেঙে ফেলে, গোটা ঘটনা জানিয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা এসডিপিও সুরজিৎ মন্ডল জানান, কলেজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে, এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট । এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর বর্মন বলেন, আমি বাইরে আছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে গোষ্ঠী কোন্দল এর বিষয় নেই বলেও জানান দীপঙ্কর বর্মন। এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সহ-সভাপতি ওয়াহেদ হাসান (সম্রাট) বলেন, আমাদের কলেজে কিছু ছাত্র যারা সব সময় মেয়েদের ইফটিজিং করে,ইউনিট রুমে নানা রকম আপত্তি কর কাজ করে চলেছে তারা ছাত্র পরিষদের সদস্য কিনা জানি না। আমি এবং কয়েকজন প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে গত ৪ঠা অক্টোবর। তার প্রতিবাদে আজকে আমরা ডেপুটেশন দিতে যাই কলেজে। কলেজ গেট বন্ধ থাকায় আমরা সেখানেই ধর্নায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময় সেই গুন্ডারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এবং এ সব তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকারের ভাই নিবাস সরকারের নেতৃত্বেই হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন সম্রাট ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *