গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতির খপ্পরে যুবক
বাপ্পা রায়, ময়নাগুড়ি ঃ গভীর রাতে একা বাড়ি ফিরলে শুধু মহিলারাই নন, বিপদে পড়তে পারেন পুরুষেরাও। খোয়া যেতে পারে নগদ টাকা, সঙ্গের বাহন এমনকি জীবনহানিও হতে পারে দুস্কৃতিদের খপ্পরে পড়ে। গ্রামগঞ্জের রাস্তাতেও যে এমন ধরনের বিপদ ঘটতে পারে তার ভয়ানক কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন ময়নাগুড়ির যুবক।
ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ২ অঞ্চলের অমিত রায়, পেশায় আইনি সহায়ক। মঙ্গলবার কাজের সূত্রে সহকর্মীকে নিয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ধূপগুড়ির উদ্দেশ্যে। ধূপগুড়ি থেকে ফেরার পথে ভূজারিপাড়া এলাকায় সহকর্মীকে নামিয়ে দেন এবং সেখান হতে রাত এগারোটা নাগাদ গাড়িতে করে তিনি বাড়ির দিকে একা রওনা দেন। কয়েক কিমি এগিয়ে তিনি দেখতে পান হাত বাড়িয়ে কেউ লিফট চাইছেন। সেজন্য গাড়ির গতিও কম রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ পথের ধারে থাকা ব্যক্তি খোলা আকাশের দিকে টর্চ মারেন। অন্য রকমের সংকেত মনে করে অমিত বাবু না দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ে এগোতে থাকেন। ১০০ কিমি এগোতেই অচেনা আর এক ব্যক্তি দু’হাত ফেলে তাকে থামতে বলেন। পরিস্থিতি আশঙ্কা করে তিনি সেখানে আর অপেক্ষা করেননি। বিষয়টি তিনি ময়নাগুড়ি থানায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওরা আমাকে আটকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল। যখন গাড়ি স্লো করি ওরা ওই সময় আকাশের দিকে টর্চ জ্বালায়। এতে আমার সন্দেহ হয় এবং সেখান থেকে পালিয়ে যাই।
জানা গেছে, ময়নাগুড়ি ব্লকের জটিলেশ্বর মন্দির হয়ে শালতলী মোড় পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কে মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের অভিযোগ, মাঝে মাঝে ওই এলাকায় বেশ কিছু যুবক পথ আটকে টাকা দাবি করে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মদ খাওয়ার খরচ জোগাতে এই ধরনের কাজ করছে কিছু যুবক। অমিত বাবুর ঘটনা নিয়ে ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস অবশ্য বলেন, ঘটনা নিয়ে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি, অভিযোগ এলেই বিষয়টি তদন্ত করা হবে।