বিশ্বের মহান বীর চিলা রায় এর ৫১২তম জনম দিনত ক্যাপ্টেন নলিনী রঞ্জন রায়ের বিশেষ প্রতিবেদন

বিতা বছরের মত এই বারেও বীরসূর্য বিশ্ববীর চিলারায়ের ৫১২ তম উবজন দিবস (জন্ম বার্ষিকী) আজি উত্সাহ পূর্বক অসম, উত্তরবঙ্গ, বিহার, মেঘালয়, নেপাল আর’হ অনেক জায়গাত ধুমধাম করে আয়োজিত করা হবা ধরিচে | এইটা বড়য় খুশীর খবর, বড়য় আনন্দের ব্যাপার |
চিলারায় একজন মহান বীর পুরুষ ছিল যায় বিশাল কোচ সেনার সামনত রয়্হা যুদ্ধ করে | সাহসী, যুদ্ধকৌশলে অতি চতুর আর সেনা পরিচালনায় সুদক্ষ ছিল চিলারায় | বড় ভাই আর মহারাজ নরনারায়নক খুব মানে আর সারা জীবন কোচ সেনার প্রধান হয়া কোচ সাম্রাজ্যের বিস্তার করিবার জইন্যে নিজের জীবন উত্সর্গ করিয়া দিছিলে |
এক বিশাল নৌবহর সৃষ্টি করিয়া কোচ সেনাবাহিনীক খুব শক্তিশালী করিয়া তুলিচিল যার ফলে অহম সেনার মত শক্তিশালী সেনাবাহিনীক হারায় দিবা পারিচিলে | স্যালাকার যুগের উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাইজ্যলাক পরাজিত করিয়া ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত করিয়া দিছিলে | যুদ্ধের সময় ঘোড়ার উপর সওয়ার হওয়া নদীনালার উপর লাফ দিয়া পার হয়া শত্রুর উপর হামলা করিয়া প্রচুর শত্রু সেনাক মারিয়া ফিলায় | পদাতিক সৈন্য আর নৌসেনাক কৌশলপূর্বক তৈনাত করিয়া শত্রুর উপর হামলা করিয়া যুদ্ধ জয় করে | শত্রুর উপর মানসিক চাপও সৃষ্টি করে যার ফলে চিলারায় আক্রমন করিবার শুনিলে বেশির ভাগ শত্রু হতাসে পালায়া যায় |
অহম সেনার সঙ্গে যুদ্ধের সময় এইটা শুনা গেইছে যে, শুক্লধ্বজ লড়াইয়ের সময় একবার ঘোড়ার উপর সবার হয়া ভরলী নদী লাফ দিয়া পার করে আর চিলা পখীর মত ছোঁ মারিয়া শত্রু সেনার উপর হামলা করিয়া বহু সৈন্যক হত্যা করে | বজ্র সমান তীব্রতা আর দ্রূত যুদ্ধ কলা-কৌশল দেখিয়া শত্রু সেনা ভয়ে পালায়া যায় | তার দৃষ্টি এত প্রখর ছিলে আর যুদ্ধত শত্রুর উপড় এত তেজ হানা দ্যায়, মনে হয় যে মেঘের উপর তকরা দ্যাওয়া(আকাশ) পথত আসিয়া চিলা পখীর মত ছোঁ মারিয়া শিকারক মাটি তকরা উঠায় লেগায় | এইভাবে, তার অসাধারাণ যুদ্ধ কৌশলের জইন্ন, শুক্লধ্বজের নাম হয়া যায় ‘চিলা রায়’ | শত্রু শিবিরত ভয়ে হরকম্প শুরু হয়া যায় জ্যালা চিলা রায় হানা দেয় |
খুবে সুক্ষভাবে পরিকল্পনা করিয়া সেনাবাহিনীক তৈরী করা, অগ্রসর হবার দিশা বদলায় দিয়া শত্রুর উপর অচানক হামলা করিয়া বরবাদ করা আর দরকার পরিলে পিছু হঠা, রাতির আন্ধারত কিংবা খারাপ মৌসম হলে পরে শত্রুক আক্রমন করা, প্রয়োজন অনুযায়ী সৈন্য আর যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার করা – এইগিলা ছিলে চিলারায়ের যুদ্ধ কৌশল |
এক নায়া যুদ্ধ কৌশল যাক ‘গেরিলা যুদ্ধ’ কহে, ওই পদ্ধতি চিলারায় প্রথম শুরু করে | ওই রকম গেরিলা যুদ্ধ কৌশল পরে মারাঠা সাম্রাজ্যের মহারাজা শিবাজী অবলম্বন করিছিলে | মহারাজা নরনারায়ন সবসময় রাজ্যভারের বিষয়ে চিলারায়ের সঙ্গে জল্পনা-কল্পনা করে | অয় কুন’হ দিন বন্দী বা পরাজিত শত্রুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে নি | মায়া-মানছিলাক আর ব্রাহ্মনক শ্রদ্ধা করিবা শিখাইচিলে কোচ সেনাবাহিনীক |
শ্রীমন্ত শংকরদেব জ্যালা অহম রাইজ্য থাকিয়া বিতারিত হয়া কোচ রাইজ্যত আসে স্যালা চিলারায়ের অনুরোধত মহারাজা নরনারায়ন অমাক আশ্রয় দ্যায়। চিলারায় শ্রীমন্ত শংকরদেবের ভাজিতি কমলাপ্রিয়া ওরফে ভুবনেশ্বরী দেবীক ব্যাহা করে | এইনং করে, শ্রীমন্ত এক স্বরণ নাম ধর্ম আর সাংস্কৃতিক পুনরাবর্তন করিতে সমর্থ হইচিলে |
যুদ্ধ কৌশলত চিলারায়ক মারাঠা সম্রাট মহাবীর শিবাজীর সঙ্গে তুলনা করা হয় | ভারতের সামরিক ইতিহাসত চিলারায়ের মত যোদ্ধার নাম সোনার অক্ষরত লেখা থাকিবে। ভারতের উত্তর-পূর্ব সম্পুর্ন অংশটাক একসুত্রত বান্ধিবার ক্ষেত্রত অমার অবদান চিরকালত সগায় ফম রাখিবে | ভারতীয় ইতিহাসত রাজপুত মহাবীর মহারানা প্রতাপের সম্পর্কে অনেক কিছু জানিবা পারি কারণ ইতিহাসের পাঠ্যক্রমত এই মহান বীরের কাহিনী লেখা আছে | বিশ্বের বড় বড় মহাবীর যেনোং আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, নেপোলিয়ন ইত্যাদির সম্পর্কে পড়াশুনা করি কিন্তু, ভারত দেশের এক মহাবীর চিলারায়ের সম্পর্কে বেশী কিছু জানিবা পারি না যেইটা জানা বিশেষ প্রয়োজন | অথচ বিখ্যাত ঐতিহাসিক টয়েনবি নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সঙ্গে এই বীর চিলা রায় এর তুলনা করিচে। হামেরা এইটায় আগ্রহ করিবা চাহাচি যে যাতে দেশের ছাত্র-ছাত্রী আর হামার দেশবাসী নিজেরই দেশের এক মহাবীরের সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানে আর চিনে | চিলারায়ের আদর্শ যাতে সগায় অনুসরণ করে, তাহলেই হামার দেশের মইধ্যে একতা মজবুত থাকিবে | এই জইন্য স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিত বীশ্ববীর চিলারায় সম্পর্কে পাঠ্যক্রমত বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা আর পড়ানো বিশেষ দরকার |
বীরসূর্য বিশ্ববীর চিলারায়ের ৫১২ তম জন্ম বার্ষিকীর পুণ্য দিন উপলক্ষত রাজবংশী জনগোষ্ঠী সমাজের সর্বাঙ্গীন উন্নতি আর বিশ্বের সকল মানুষের মঙ্গল হোক এই কামনা করি |
জয় শুক্লধ্বজ, জয় বিশ্ববীর চিলারায়ের জয় !!!

Writer: Captain Nalini Ranjan Roy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *