মন্দির সংস্কার ও বজরং বলি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে পুজো, উন্মাদনায় মাতলো কুশিয়ার বাড়ী গ্রাম।

পরিমল বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা, ১০ মে :- প্রায় তিরিশ বছর আগে একটি টিনের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয়েছিল বজরং বলি দেবের পুজো। শুরু করেছিল কয়েজন ভ্যান চালক পরবর্তীতে সার্বজনীন হয়ে উঠে এই পুজো। এখন কংক্রিটের মূর্তি তৈরি করে, পাথরের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে মহাসমারোহে দুই দিন ধরে চলা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো মঙ্গল বার। জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফালাকাটা কোচবিহার ৩১ জাতীয় সড়ক থেকে কুশিয়ার বাড়ী বাজারে ঢোকার মুখে আজ থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে যখন প্রথম ৩১ নং জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয় সেই সময় কুশিয়ার বাড়ি বাজারে অবস্থিত ভ্যান রিক্সা চালক বাজারে ঢোকার মুখে এই জায়গায় ভ্যান রিকশার স্ট্যান্ট করেছিল। জায়গাটি একটি বাক নিয়েছে তাই সেই সময় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে এই জায়গায়। আর যাতে সেই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যায় মানসিক বিশ্বাস নিয়ে কাল্পনিক শক্তির কথা মাথায় রেখে এই স্থানে একটি টিনের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় বজরং বলির পুজো। আস্তে আস্তে এলাকার ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ এই পুজোয় অংশ নেয়। এ বছর সকলের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে কংক্রিটের মন্দির এবং পাথরের বিগ্রহ নির্মাণ করে অনুষ্ঠিত হলো পুজ। এ বিষয়ে পুজো কমিটির পক্ষে রতন কুমার রায়, জানান, সোম এবং মঙ্গল এই দুই দিন ধরে পুজো উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। সোম বার কলস যাত্রা এবং রামায়ন পাঠ দিয়ে আরম্ভ হয় পুজো উৎসব। মঙ্গল বার বজরং বলি দেবের পুজো এবং প্রাসাদ বিতরন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *