বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে মাছ মাংসের বদলে মার খেয়ে বাড়ি ফিরেছে বরযাত্রী

সঞ্জয় কুমার বর্মন,মাথাভাঙা:বিয়ের মন্ডপে নিজস্বী তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা।বচসা থেকে হাতাহাতি । এই ঘটনায় পাত্র ও পাত্রী পক্ষের বেশ কয়েক জন চোট পায়।স্থানীয়দের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছায় পুলিশ।শেষ পর্যন্ত সাতপাঁক ঘুরে বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে যায়।বৃ্হস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা ১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপনিপাড় এলাকায়।
বৃ্হস্পতিবার রাতে শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক পাত্রের সাথে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপনিপাড়ের এলাকার এক পাত্রীর বিয়ে ছিল।বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ সেলফি তোলা কে কেন্দ্র করে পাত্রীপক্ষের সাথে পাত্র পক্ষের প্রথমে বচসা পরে তা হাতাহাতি তে পৌঁছয়। মুহূর্তের মধ্যেই বিয়ের অনুষ্ঠান ভন্ডুল হওয়ার জোগাড় হয়। পাত্রপক্ষের অভিযোগ, আমরা যখন ছবি তুলছিলাম সেসময় পাত্রী পক্ষ থেকে ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও পাত্রীপক্ষের দাবি পাত্র পক্ষই ফটো তুলতে বাঁধা দেয় ।এমনকি বিয়ের মন্ডপ সহ বিয়ের সামগ্রী ভেঙে ফেলে।পাত্র পক্ষের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে নয়ারহাট বাজারে মহিলা বরযাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে আটক করে রাখা হয়। ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে উভয়পক্ষের কয়েকজন চোট পায় বলে জানা যায় । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিয়ের আসরে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। এক বরযাত্রী জানান, ভেবেছিলাম বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে মাছ মাংস খাব ভাবি নি তার বদলে মার খেয়ে বাড়ি ফিরব। গ্রামে বিয়ের আসরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই বিয়ের আসরে পৌঁছয় নয়ারহাট ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনায় পাত্রপক্ষ বা পাত্রীপক্ষের কেউই কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায়নি। জানা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ বচসা ,হাতাহাতিতে থমকে যায় । স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ করে পাত্র নববঁধুকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *