ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ বিঘা জমি নদী গর্ভে, চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের

পরিমল বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা, ১ জুলাই :- বেশ কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন নদীতে বেড়েছে জল এমন কি বেশ কিছু বাড়িতে উঠেছে জল । গত কয়েকদিন ধরে এমনি চিত্র দেখা গেলো মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতি বার বৃষ্টি না হওয়ার ফলে জলস্তর নেমে গেলেও লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পুটিমারী গ্রামের বুড়ি তোর্সা নদীতে ভাঙন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ পুটিমারি মারি গ্রাম এলাকায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা চাষের জমি নদী গর্ভে চলে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। কারো কুল গাছের বাগান, কারো শশা ক্ষেত আবার কারো গাছ বাগান ইতি মধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে বলে জানা যায়। সবে বর্ষা শুরু এরপর আবারও নদীর জল বাড়লে আরো কত জমি নদী গর্ভে যাবে সেই চিন্তায় ঘুম উরেগেছে স্থানীয় কৃষক পরিবার গুলির। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আবেদন এলাকা বাসীর। স্থানীয় বিনোদ বর্মন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে একটি নদী বাঁধের আবেদন ছিল আমাদের । প্রায় ২ বছর আগে একটি প্রতিনিধি দল এসে বাঁশের পার বাঁধ নির্মাণ করার কথা বলেন। কিন্তু এলাকাবাসী কংক্রিটের পার বাধার আবেদন করেন এবং যেহেতু বাঁশের পার বাঁধ দিয়ে কোন কাজ হবে না তাই বাঁশের পার বাঁধ নয় স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান ফলে সেই বাঁশের পার বাঁধ আর হয় নি এবং কংক্রিটের বাঁধও আর হয় নি। স্থানীয় পরেশ দত্ত, কার্তিক দত্ত,হেমেন চন্দ্র বর্মন, নীলচান বর্মন, শ্রীরাম বর্মন সহ আরো বেশ কয়েকজনের আবাদি জমি এখন নদী গর্ভে বলেও জানা যায়। এ বিষয়ে লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদা বর্মন জানান, আমরা দক্ষিণ পুটিমারিতে আপাতত একটি বাঁশের পার বাঁধের ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু স্থানীয়রা তা নিতে চায়নি এবং ওনাদের দাবি ছিল পাকা বাঁধের । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবারও জানাবো। আর তাছাড়া এ বছর ভাবনার অতীত বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে তেমন সমস্যা হয়নি। এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক বিডিও উজ্জ্বল সরদার জানান, বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে কেবল বর্ষা শুরু তাতেই এই পরিস্থিতি জল বাড়লে কয়েকশ বিঘা জমি নদী গর্ভে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দক্ষিণ পুঁটিমারী গ্রামের সাধারণ কৃষক পরিবার গুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *