৮ই আগস্ট ”কল্পনার রাইজ্যত হলদিয়া ঝড়”
ক্ষীরোদা রায়ঃ বছরের ৮ই আগস্ট ভার্চুয়াল ইয়েলো স্ট্রম। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ি হলদিয়া ঝড়। এই ঝড় রাজবংশী জাতির একতার ঝড়। তবে সত্যিই কি রাজবংশী জাতির মানষির মধ্যে একতা আছে?
ভার্চুয়াল ইয়েলো স্ট্রম শব্দটাক ব্যবহার করা হৈল্ আসলে সোশ্যাল মিডিয়া এক কল্পনার জগৎ। যে জগতের বাসিন্দালা একটা ছাতির তলোত আসির স্বপন দেখেছে। কিন্তু সেই মহৎ কাজ বাস্তবে সফল হবার মতন পরিস্থিতি কি আছে? আসলে সোশ্যাল মিডিয়া এক কাল্পনিক জগৎ, যে জগত’ত ভৈ ভৈ করি ফটো, ভিডিও আপলোড করিলেই জাতিয়তাবাদী হওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়াত হলদিয়া গামছা আরহ্ পাটানি পিন্দি পোস্ট করি গোটায় রাজবংশী জনসমাজের চেঙড়া-চেঙড়ি, বুড়া-বুড়ি যে একতার বার্তা দিবার চাছে, জাতির মঙ্গলের বাদে তার খিব দরকার। কিন্তু একটা জাতি তার সংস্কৃতি, ভাষা, শিক্ষা, রীতিনীতি, ঐতিহ্য, সামাজিক মূল্যবোধ’ক হাতিয়ার করি তখনই পুরাপুরি সংগঠিত হবার পারে যেলা রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ভাবে একটা ছাতির তলোত আসি একটা বড় জনসমাজের অংশ হয়া সুখ দুঃখের ভাগিদার হবে। সেই ছবিটা এলাও অস্পষ্ট, ঝাঁপসা।
হাত’ত লাঠি, চোখুত চশমা, সাদা ধুতি পরা এক বয়স্ক মানষি সারা ভারত’ক ঐক্যবদ্ধ করি তুলিসে, সেই মহাত্মা গান্ধীর মন্ত্র ছিল সত্যের প্রতি অবিচল থাকিয়া কাজ করি যাওয়া। ব্রিটিশ শাসন’ক অসত্য আর মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত প্রমাণ করিতে সময় নাগিসে গান্ধীর। কিন্তু লক্ষ্য থাকি ভ্রষ্ট রাজনীতির পথ’ত ঠ্যাং বাড়ায় নাই গান্ধীজী। জাতীয় ঐক্য বাড়ে তুলার কৌশল নিসিলেন গান্ধী। বর্তমান গণতান্ত্রিক রাজনীতিত সেই কৌশল দরকার, দরকার রাজনৈতিক মতাদর্শ ভূলি রাজবংশী জাতির উন্নতির বাদে এক ছাতির তলোত আইসার। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা একটা সংগঠিত জাতি তৈরির প্রচেষ্টা নেন, শিক্ষার প্রসার, জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেষ্টা করেন। কামতাপুর, কোচবিহারের রাজা, মহারাজার ঘর বিশাল বড় সাম্রাজ্য তৈরি করিয়া তাক অখণ্ড রাখির রাজনৈতিক কৌশল চালে যান।
‘হলদিয়া গামছা’ কোন রাজনৈতিক দলের প্রতীক বা চিহ্ন না হয়, একটা সংগঠিত জাতি তৈরির প্রচেষ্টা, সগারে আবেগ, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতির প্রতীক। ভাবধারা, চিন্তা চেতনা, ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার সৌগে থাকিয়াও জনসমাজ হয়া উঠির বাদে একটা মতাদর্শের অভাব। সেই সব দিক থাকি মিল আনুক হলদিয়া গামছা, রাজবংশী জাতির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একটা ছাতি হয়া উঠুক।