ভাইরাল পোস্ট’ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল উত্তরবঙ্গ
ক্ষীরোদা রায়ঃ
অ্যাকখান কাগজের টুকুরাত ভাসি বেড়াছে সপোন। কোচ-রাজবংশী তথা কামতাপুরী জনগণের সপোন, ব্যাগল রাইজ্য আর ভাষা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের একখান চিঠি, যেটে লেখা আছে কামতাপুরী ভাষা আরহ্ রাইজ্য গঠণের বিষয় কেন্দ্র সরকারের দুইটা ব্যাগল দপ্তর নিরীক্ষণ করি রিপোর্ট জমা দিবে। ইয়ার মানে এই না হয়, সরকার সংসদ’ত সেই ভাষা আর রাইজ্যের স্বীকৃতির দাবি তুলিবে। সরকার এই দুই বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে কমিশন ঠিক করি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিবে আদৌ কামতাপুরী ভাষা আরহ্ রাইজ্যর স্বীকৃতি দেওয়া যাবে কিনা।
ঠিক একে মতন কাগজ দ্যাখেয়া সাধারণ মানষিক রাইজ্যর সপোন দ্যাখেয়া মহারাজ হয়া উঠিসেন অনন্ত রায় ওরফে নগেন রায়। কোচবিহার মার্জার অ্যাগ্রিমেন্ট, মহারাজের চিঠি, কোচবিহারের জেলাত পরিণত হবার বিরোধিতা করি লেখা কাগজপত্র সাধারণ মানষির হাতে হাতে ধরে দিয়া মহারাজ সপোন দেখাইল যুগ সন্ধিক্ষণ আইসেছে।
সেই যুগ সন্ধিক্ষণের আশাতে এইবার উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নাকি হবার ঘাটাত, এমন কাগজের টুকুরা ভাসি বেড়ায়ছে সোশ্যাল মিডিয়াত। কুনো কাগজের টুকুরাত উত্তরবঙ্গের আটটা জেলা নিয়া হিমালয়াঞ্চল গঠিত হবে আবার কুনোটে বিহারের তিনটা জেলা সদে উত্তরবঙ্গের আটটা জেলা নিয়া উত্তরাঞ্চল সীমান্ত প্রদেশ। এমনকি কেএলও চীফ জীবন সিংহের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয় আসামের চাইরটা জেলা আর উত্তরবঙ্গের আটটা জেলা নিয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা রাইজ্যের দাবিত। এতদিন কামতাপুর বা জিসিপিএ যে ব্যাগল রাইজ্যের দাবি তুলিল ভাইরাল হওয়া কাগজের সূত্র ধরি কোইলে, কেন্দ্র সরকার হঠাৎ তার সীমানার কেনে পরিবর্তন ঘটাইল?
২০০০ সালে বিহার রাইজ্য বিভাজন হয়। গড়ি উঠে ঝাড়খণ্ড রাইজ্য। তারও আগত অবিভক্ত বিহারের (বর্তমান ঝাড়খণ্ডের) মানভূম জেলাক বিহার থাকি ভাগ করি পশ্চিমবঙ্গের নগত যুক্ত করা হয় ১৯৫৬ সালে। ফির আরো একবার বিহার ভাঙি ফেলার ঘটনা কি সহজে মানি নিবে বিহারের জনগণ?
বিহার মানে লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল আর নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের দায়িত্বত লালু প্রসাদের বেটা তেজস্বি যাদব বর্তমানে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি বিরোধী হিসাবে যার জনপ্রিয়তা বর্তমানে বাড়েছে। অইন্য পাখে নীতিশ কুমারের জেডিইউ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক দল ছিল, এনডিএ জোট ছাড়েন নীতিশ। বর্তমান বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারত বসি আছেন নীতিশ। রাইজ্য আর জাতীয় স্তর’ত বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে সংযুক্ত মোর্চা জোট গঠণ করি লড়াই চালাছেন। আর সেই কারণে জেডিইউ দল ভাঙি ফেলার খেলা চালাছে বিজেপি, ইতিমধ্যে ৫ জন বিধায়ক বিজেপিত যোগ দেয়।
সেই বিহারত আর একজনের নজর, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। শুনা যায় পিকে নাকি নয়া দল গঠণ করিবে, এমনকি বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করিসেন পিকে।
এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গ আর নামানি অসমের ঐতিহাসিক দাবির বিরুদ্ধে যায়া বিহারের তিনটা জেলার সাথে উত্তরবঙ্গের আটটা জেলা নিয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব কেনে দিল বিজেপি? আসাম’ত বিজেপি ক্ষমতাত থাকি কামতাপুর অটোনমাস কাউন্সিল গড়ি দিসে। তাহলে কেনে আসামের চাইরটা জেলার সাথে উত্তরবঙ্গ নিয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ি দিবার প্রচার চালাছে না? নাকি নীতিশ কুমারের এনডিএ জোট ছাড়ার ঝাল সুদে আসলে মিটির জন্য বিহার ভাঙার কৌশল বিজেপির? বিজেপি বিরোধী দুই প্রতিবেশী রাইজ্য নিয়া বিজেপির রাইজ্য ভাঙার কৌশল কি তাহলে কি ভোট রাজনীতি? ভাষা সংস্কৃতি এক হবার পরেও কেনে উত্তরবঙ্গ আর অসমের চাইরটা জেলা নিয়া বিজেপি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছে না?