পারডুবিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো উজানিয়া উৎসব।
পরিমল বর্মন,ঘোকসাডাঙ্গা, ২১ ডিসেম্বর :- রাজ বংশী সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পারডুবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিগত ৭ বছর ধরে হয়ে আসছে উজানিয়া উৎসব। এবছর এই উৎসব অষ্টম বর্ষে পদার্পন করলো। পারোডুবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিন ব্যাপী চলা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়ে গেল বুধ বার। প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী করিমূল হক,অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাইয়া শিল্পী আয়শা সরকার, বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব ভাওয়াইয়া পর্ষদের সভাপতি খন্দকার মহমদ আলী সম্রাট, মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি তরফদার রায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। জানাগিয়েছে, ভাওইয়া গানোত দোতরার ডাঙোত শিদলের টানোত এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পাড়ডুবিতে সাত বছর আগে শুরু হয়েছিল উজানিয়া উৎসব । মূলত রাজবংশী সাংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠান বলে জানা যায়। আয়োজক কমিটির তরফে মহেশ রায় জানান ভাওইয়া সংস্কৃতির ধারক ও বাহকদের উপস্থিতিতে এপার বাংলা ওপার বাংলা তথা বাংলাদেশে অসম সহ উত্তরবঙ্গের খ্যাতনামা শিল্পীরা ভাওইয়া গান পরিবেশন করবেন। এদিন উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া চন্ডী নাচ,বাহো নাচ,কুশান নাচ সহ অসাম, বাংলাদেশ ও উত্তরবঙ্গের শিল্পী সমন্বয়ে ভাওয়াইয়া গান উজানিয়া উৎসবে পরিবেশিত হবে। এছারাও উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে এদিন অনুষ্ঠান চত্বরে আঞ্চলিক হোটেলে দেশি খাবার শামুকের ও টাকোয়ার হোড়পা, ঝিনুকের তরকারি,শিদলের আওটার হোটেল বসেছে। উত্তরবঙ্গের দেশি খাবার শামুকের ও টাকোয়ার হোড়পা, ঝিনুকের তরকারি,শিদলের আওটা এখন গৃহিনীদের রান্নাঘরে তেমন আর চোখে পড়ে না। আর হারিয়ে যাওয়া এই খাবারের যোগান রয়েছে এখানে ।। এবিষয়ে উজানিয়া উৎসব কমিটির সাংস্কৃতিক সহ সম্পাদক হৃষিকেশ রায় বলেন দুই ব্যাপী চলা অনুষ্ঠানের বুধ বার শুরু হল উজানিয়া উৎসব, আঞ্চলিক লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে ভাওইয়া সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত।