বিশ্ব বীর চিলা রায়ের দুই চাইর কতা

নিউজ ডেস্ক, শিলিগুড়ি:মাঘী পূর্ণিমার তিথি, জারের কুয়াশা মাখা দিন’ত কামতা রাইজ্যের বুক’ত জ্বলি উঠিসে ফরফরা আলো। কামতাপুরের দ্যাওয়াত নয়া সূর্যের আলো। ঐতিহাসিক টয়েনবীর মতে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চাইর বীর যোদ্ধার মইধ্যে চিলা রায় অর্থাৎ শুক্লধ্বজ একজন। কামতাপুরের বুকত রাজা নরনারায়নয়ণের দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার পধ্যান সেনাপতি চিলা রায় একজন সুদক্ষ কূটনীতিবিদ, সামরিক বিশেষজ্ঞ, সুকৌশলী রাজনীতিবিদ। একজন পরাক্রমশালী শাসকের যত গুণ থাকা দরকার সেনাপতি চিলা রায় আর রাজা নরনারায়নের মধ্যে আছিল। তারে বাদে কামতা কোচবিহারের সাম্রাজ্য ছড়ি পড়িসে গোটায় উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ি।

কামতাপুরের মাটিত কোচ রাজা বিশ্বসিংহের ১৯টা বেটার মধ্যে চিলা রায় একজন। উমার জন্ম ১৫১০ সালের মাঘী পূর্ণিমার তিথিত।

বারাণসীত সংস্কৃত সাহিত্যত পড়াশুনা করি বড় ভাই নরনারায়ন আর ছোটভাই শুক্লধ্বজ বাড়ি ফিরি আইসেন। বিশ্ব সিংহ অসুখত পড়িলে সেই সময় আর এক ভাই নরসিংহ রাজত্ব করিসেন।

যদিও বিশ্বসিংহ ঠিক করেন নরনারায়ন হবে রাজা আর শুক্লধ্বজ হবে পধ্যান সেনাপতি, কিন্তু নরসিংহ তা মানির না চাইলে নরনারায়ন নরসিংহক যুদ্ধত হেরে দিয়া সিংহাসনত বইসেন।

কামতাপুরের মাটিত সেলা পূর্ণিমার চান্দের আলো। ফরফরা হয়া উঠিসে মাটি। চাইরো পাখে ছড়ি পড়েছে কামতার সাম্রাজ্য। রাজা নরনারায়ন আর পধ্যান সেনাপতি চিলা রায় একে একে অহোম, কাছাড় জয় করি নেন। তারপর মণিপুর, শ্রী হট্ট, খাইরাম,চট্টগ্রাম, ডিমরুয়া জিতি নেন। চিলা রায় এর বাহিনীর হাত’ত জয়ন্তীয়ার রাজা, ত্রিপুরার রাজা ও সিলেটের রাজার সৈন্য এমনকি ভূটিয়া সৈন্য মৃত্যুবরণ করেন। গৌড় রাজ্য আক্রমণের সময় চিলারায় বন্দী হন। উমার রাজকীয় ব্যবহারত খুশি হয়া গৌড়ের রাজমাতা চিলা রায় অক মুক্তি তো দেয় সাথতে পাঁচটা বেটির সাথত বিয়াও দেন চিলা রায়ের। বাহার বন্দ, শেরপুর, গয়বারী, দহকনীয়ার মতন পাঁচটা পরগণা লাভ করেন। চিলা রায় আসামের মহাপুরুষ শংকর দেব’ক কামতা রাইজ্যত আশ্রয় দেন।

১৫৭১ সালে মাত্র ৬১ বছর বয়সে বসন্ত রোগত আক্রান্ত হয়া মৃত্যু হয় মহাবীর বিশ্ববীর চিলা রায়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *