মহিলা খুনে কাশ্মীর থেকে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জানালো পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা দিনহাটা- এক মহিলা খুনে অভিযুক্ত এক যুবককে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করল দিনহাটা থানার পুলিশ। ধৃত ওই যুবকের নাম দুলু বর্মন(৩৫)। তার বাড়ি দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের বুড়িরহাটের গতিকচুয়া গ্রামে। শনিবার তাকে দিনহাটা আদালতে তোলা হয়। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে রবিবার ঘটনার পুনরনির্মাণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃত ওই মহিলার নাম রেনুবালা বর্মন। তার বাড়ি দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বুড়িরহাট এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত 4 মার্চ দিনহাটায় ১ নম্বর ব্লকের ভেটাগুড়ি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মাণীর চৌকি এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে দিনহাটা থানার পুলিশ। মৃতদেহ সংরক্ষণে রেখে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু কোন মহিলার নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ পুলিশের হাতে না আসাতে পুলিশকে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। পুলিশের তরফ থেকে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন থানার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু কোন উত্তর আসেনি। কিছুদিন পর দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের বুড়িরহাটের এক যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার ছবি দেখে তাকে চিনতে পারে। সেই সূত্র ধরে দিনহাটা থানার পুলিশ জানতে পারে বিবাহিত ওই মহিলার নাম রেনু বালা বর্মন। বুড়িরহাট এলাকায় তার স্বামী ও ছেলে রয়েছে। পুলিশ তাদের দ্বারা ওই মৃতদেহ শনাক্তকরণ করে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত এক প্রেমের কাহিনীর রহস্য উদঘাটন করে। শনিবার দিনহাটা থানায় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ জানান, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বুড়িরহাটের গতি কচুয়া গ্রামের দুলু বর্মনের সঙ্গে বুড়িরহাটের রেনুবালা বর্মনের বিবাহ বহির্ভূত একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের সম্পর্কের অবরতি ঘটে। গত 3 মার্চ রাতে দুলু বর্মন রেনুবালা বর্মনকে নানা কৌশলে ভেটাগুড়ি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মাণীর চৌকি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে তার মুখে আঘাত করে পরে তাকে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ। তিনি জানান , ওই ঘটনার তদন্ত অনেক কঠিন ছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত দুলু বর্মন পালিয়ে কাশ্মীরে গিয়ে রয়েছে। সেখানে একজন ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতো সে। দিন কয়েক আগে দিনহাটা থানার পাঁচজনের একটি দল কাশ্মীরে যায় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সেখানকার আদালতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে দিনহাটায় নিয়ে আসে। শনিবার তাকে দিনহাটা আদালতে তোলা হয়।
ছবিঃ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ।