গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষরা খোলা আকাশের নিচে ত্রিপাল টাঙিয়ে আজও রয়েছেন
মালদা: নিজস্ব সংবাদদাতা :-সরকারের পক্ষ থেকে এখনো স্থায়ী ঠিকানা ,পুনর্বাসন, পাট্টা ,বা আর্থিক অনুদান মিলে নি। বলে অভিযোগ করছেন গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষেরা। মালদা জেলা গঙ্গা ভাঙ্গন এর বড় সমস্যা, প্রতিবারই বর্ষার মরশুমে গঙ্গার ভাঙ্গনে বাড়িঘর জমি জায়গা হারিয়ে ফেলেন স্থানীয় মানুষরা। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায় মানুষের বসতবাড়ি ,জমি জায়গা। গৃহহীন পরিবারগুলি খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করে। মালদার কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বীরনগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরকার টোলা , মুকুন্দ টোলা, ভিমাগ্রাম দূর্গারাম টোলা, বিজলি টোলা চিনা বাজার সহ আরো বেশ কিছু গ্রামের মানুষদের ২০২০ একুশের বন্যায় ঘরবাড়ি জায়গা জমি গঙ্গায় তলিয়ে যায়। এখনো এই এলাকার মানুষ প্রচন্ড গরমে তীব্র দাবদহে খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই গঙ্গার ভাঙ্গন। আবার বর্ষার মরশুম আসতে যাচ্ছে। এবারও গঙ্গার ভাঙ্গনে অনেক এলাকায় তলিয়ে যাবে। গঙ্গাভাঙ্গন সব থেকে একটি বড় সমস্যা এই সমস্যায় না রাজ্য সরকার না কেন্দ্রীয় সরকার তারা সমাধান করতে পারেনি আজও প্রতিবারই গঙ্গার ভাঙ্গনে সর্বত্র হারিয়ে ফেলে এলাকার মানুষ রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকার একে অপরের দোষারোপ করতে ব্যস্ত কাজের কাজ হয় না। গঙ্গা ভাঙ্গন রুখতে যে কাজ হওয়া দরকার সে কাজ হয় না। কিছু বালির বস্তা পাথর ফেলা হয় সেটিওতেও গঙ্গার ভাঙ্গন রুখা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের এই উদাসীনতার ফলে আজও গঙ্গার ভাঙ্গন এর সমাধান করতে পারল না তাই মানুষের দুর্ভোগ আজও মিটেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০২০_২১ এর গঙ্গা ভাঙ্গনে প্রায় 14 শো বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গেছিল ।কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের ভিডিও মামুন আক্তার জানান ২০২১ সালের ভাঙ্গন পীড়িত মানুষের মধ্যে আমরা বেশ কিছু প্রায় ৩৯০ জনকে পুনর্বাসন করে দিতে পেরেছি। আরো ৩০০ জনকে আমরা পুনর্বাসন খুব শীঘ্রই করে দিব। ভাঙ্গন রোড পড়ার বিষয় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার তারা রীতিমতো অনেকটাই কাজ করেছে । তবে আগামী দিনে আবার গঙ্গা ভাঙ্গা হলে আমরা সেই হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে ১৪০০ পরিবার আছে ঠিক নয়। আমাদের হিসাবে ৭০০ পরিবার রয়েছে। ২০২০ সালে গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত কিছু মানুষদের আমরা আর্থিক অনুদান দিয়েছিলাম তবে তারপর থেকে আর আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়নি পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের যেভাবে নির্দেশ আসবে সে হিসেবে আমরা কাজ করব।.গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর । উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু জানান গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করার বিষয়ের জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোন আবেদন জানায়নি ও কোন চিঠি দেয়নি। আর কংগ্রেস এতদিন সরকারি ছিল তারা কেন গঙ্গা ভাঙ্গন ওদের জন্য স্থায়ী কিছু করেননি। সাধারণ বাজেট থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সে টাকা, এই সরকার লুট ফুটে খাচ্ছে। রাজ্য সরকার এই গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করার বিষয় নিয়ে কোন রকম ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চাচ্ছেনা। বিজেপির সংসদের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তিনি জানান কেন্দ্রীয় সরকার একটি ও পয়সাও রাজ্য সরকারকে এই গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করার জন্য দিচ্ছে না। যা করছে রাজ্য সরকার করছে। গতবারও আমরা ১০০ কোটি টাকার কাজ মালদা জেলায় করেছি। এবারও আমাদের কাজ করতে হবে।।রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই টানা পড়নে আজও স্থায়ীভাবে গঙ্গা ভাঙনের রোধ করার সমস্যার সমাধান হয়নি। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা এখনো অজানা গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষদের।