ডুডুয়ায় বাঁধের দাবিতে নেপালী বস্তিতে ভোট বয়কটের ডাক
ক্ষীরোদা রায়, ফালাকাটাঃ দশ বছর আগে পাথর ফেলে রাখা হয় ডুডুয়া নদীর ধারে। নদী ভাঙতে ভাঙতে গ্রাস করে ফেলেছে চাষের জমি, বাঁশ ঝাড়। একশো মিটার দূরেই বসত বাড়ি। প্রতিশ্রুতির পাথরের ওপর বসে ফালাকাটার ধনীরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরুগাঁও চা বাগান সংলগ্ন তিনটি বুথের প্রায় তিনশোটি পরিবার ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। সরুগাঁও চা বাগানের নেপালী বস্তির বাসিন্দা বাসিন্দা অনুপ প্রধান বলেন, “প্রশাসনের সমস্ত দরজায় দৌড়েও বাঁধ তৈরি হল না, তারপরেও কাজ হল না। আমরা ভোট বয়কট করেছি এজন্য। তবে প্রশাসনের লিখিত প্রতিশ্রুতি পেলে আমরা ভোট দেব। আমরা ভোট দিতে চাই।”গত বছর বর্ষায় নদীর ভাঙন দেখে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সেচ দফতরের বাস্তু নির্বাহক সহ জেলা পরিষদ সদস্য। এমনকি বাসিন্দারা মিলে দিস্তা দিস্তা কাগজে বাঁধের আবেদনপত্র লিখে জেলা শাসক, বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। তারপরেও হয়নি বাঁধ। ফালাকাটার ধনীরামপুর ২ নং অঞ্চলের ১৩/৩৩ নং পার্টের ১২৫ টি পরিবার, ১৩/৩৪ নং পার্টের ১০০টি পরিবার এবং ১৩/২১ নং পার্টের আরো বেশ কিছু পরিবার ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, নদী বাঁধ নিয়ে বহু প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে, কিন্তু আজ অবদি গড়ে ওঠেনি বাঁধ, প্রায় ৫০ বিঘা চাষের জমি নদী ভাঙনের মুখে, ইতিমধ্যে ২৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এই জমির বেশিরভাগ অংশ রয়েছে ১৩/৩১ নং পার্টের নেপালী বস্তির বাসিন্দাদের। বাসিন্দা সুভাষ প্রধান বলেন, দশ বছর আগে বাঁধের জন্য পাথর ফেলা হয়, কিন্তু কোন অজানা কারণে কাজ বন্ধ হয়েছে আমরা জানিনা। তিনটি বুথের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, পাঁকা সড়ক তৈরি হয়নি বলে যাতায়ত সমস্যা প্রবল। গ্রামবাসী ভদ্রিকা প্রধান বলেন, “নদীবাঁধের জন্য আমরা ভোট বয়কট করেছি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে আমরা ভোট বয়কট করব।” ভোট বয়কটে সামিল হয়েছেন সিপিআইএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত ওড়াওঁ, তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি।” ভোট বয়কটের বিষয়ে ফালাকাটার বিডিও তথা ব্লকের নির্বাচনী অফিসার সুপ্রতীক মজুমদার খোঁজ নেবেন বলে জানান।