বারবিশায় ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা,কারচুপির অভিযোগ বিজেপির

দেবাশীষ রায়, কুমারগ্রাম, ১১ জুলাইঃ ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশায়। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মঙ্গলবার কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা হাই স্কুলে কুমারগ্রাম ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের ভোট গণনা শুরু হয়। গণনায় কারচুপির করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে দুপুরের দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বারবিশা হাই স্কুলে গেট ধাক্কা দিয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দশরথ তির্কি। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। এদিকে বারবিশা চৌপথীতে জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এরপর বিকেলের দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গেটে ধাক্কা দিয়ে স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়েন বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। স্কুলের ভেতর থেকে শুরু বারবিশা চৌপথী ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বাবুলাল সাহা নিজে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গণনা কেন্দ্রের ভেতরে তৃণমূলের নেতারা পুলিশ ও বিডিও’র মদতে কারচুপি করছিল। প্রতিবাদে আমি অবস্থানে বসি। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমি আহত হই।’ জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা বাবুলাল সাহা ও দলের কুমারগ্রাম-২ মণ্ডল সভাপতি নলিত দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দশরথ তির্কি বলেন, গণনায় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। আমরা আদালতে যাব। বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ বলেন, কারচুপিতে বিডিও সরাসরি যুক্ত। গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গণনার নামজ প্রহসন করা হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির জেতা আসন গুলি কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারচুপির খবর পেয়ে আমরা ভেতরে গিয়েছিলাম। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। অনেকেই আহত। আমরা গণনা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসেছি। আমরা গণনায় অংশ নিচ্ছি না। আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছি।’ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অবশ্য এইসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি হেরে গিয়ে এইসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *